ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খালেদা জিয়ার হাতে তালিকা, বহিষ্কৃত হচ্ছেন অনেকেই!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২০  

২৫ মাস সাজা ভোগের পর সরকারের মহানুভবতায় শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত ২৫ মার্চ মুক্তির পর থেকে অদ্যাবধি তিনি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না বলে জানা গেছে। এমনকি নিজের পুত্র লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের সঙ্গেও তার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। তিনি যখন ফোন করেন, বেশিরভাগ সময়ই খালেদা বিভিন্ন অজুহাতে তাকে এড়িয়ে যান।

জানা গেছে, মূলত কারামুক্তিতে কোন ভূমিকা না রাখার কারণে দলীয় নেতাদের সাথে এমন আচরণ করছেন বেগম জিয়া। বেগম জিয়া মনে করেন, ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে তাকে এতোদিন জেলে থাকতে হয়েছে। তাই ব্যর্থ নেতাদের দল থেকে বিদায় করতে একটি তালিকা তৈরি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এই তালিকায় উঠে এসেছে-কারা তার মুক্তির বিরুদ্ধে ছিল এবং কার কি ভূমিকা ছিল। আর কারাই বা সরকারের থেকে বিভিন্ন উপায়ে সুবিধা নিয়েছেন-এর উপর ভিত্তি করে করোনা সংকট কাটলেই তিনি একাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করবেন বলে জানা গেছে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, কারামুক্তির পর থেকে খালেদা জিয়া লন্ডনে পলাতক জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এড়িয়ে চলছেন। এমনকি তার সঙ্গে কথোপকথনও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। যা এক/দু’বার কথা হয়েছে, তা ছিল সৌজন্যতা বিনিময়ের পর্যায়েই। এমতাবস্থায় খালেদা আস্থা রেখেছেন নিজের ঘনিষ্ঠ সহচর ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উপর। তিনি নিজের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও ফখরুলের সঙ্গে মিলে একটি দীর্ঘ তালিকা তৈরি করেছেন। যেখানে তিনি জেলে থাকাকালীন সময়ে যেসব নেতাকর্মীরা সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সুবিধা নিয়েছেন এবং তাকে জেলে রাখতে বিশেষ মহলের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন-তাদের নাম উঠে এসেছে। করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগময় পরিস্থিতি কেটে গেলে তালিকা ধরে এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয় নেত্রী ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে জানতে বাংলানিউজ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বিএনপির তৃতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা বাইরে বলতে নিষেধ রয়েছে। তাই আপনারা অযথা জানতে চাইবেন না, কারণ আমি বলতে পারবো না। আমার জবানের একটা দাম আছে। তাছাড়া এটা বিশ্বাসযোগ্যতারও একটা ব্যাপার। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বিশ্বাস করে আমার সঙ্গে কিছু ব্যাপারে আলাপ করেছেন এবং সিদ্ধান্তেও পৌঁছেছেন-যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবাই জানতে পারবেন। তাই ধৈর্য ধরাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি আর অনৈক্যর সুর। এ কারণে দলটির নেতাকর্মীরা দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তি নিয়েও বাণিজ্য করে, তাকে জেলে রাখবার ফন্দিফিকির করে। এ থেকে সহজেই অনুমেয়, দলটির রাজনৈতিক মতাদর্শে কতোটা গলদ আছে এবং সেই আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নেতাকর্মীরা কতোটা আত্মপরায়ণ। যার কারণেই আজ তাদের দল থেকে বহিষ্কৃত হতে হচ্ছে!