অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেলো বিদ্যালয়ের ভবন

ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের বাগেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শুক্রবার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুড়ে গেল বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগার বিশিষ্ট একটি আধাপাকা ভবন। এতে ভবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বসার চেয়ার-টেবিল ও বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার বাগেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি আধাপাকা ভবনে স্থানীয় লোকজন আগুন জ্বলতে দেখেন। ছুটির দিন হওয়ায় তখন বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক-কর্মচারী ছিল না। পাশ্ববর্তী পোল্ট্রি ফার্ম কর্মচারী নুরুল আফসারের শোরচিৎকারে স্থানীয়রা নিজেদের চেষ্টায় আগুন নেভানোর জন্য এগিয়ে আসে। ফায়ার সার্ভিসকেও বিদ্যালয় ভবনে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও দ্রুত ওই স্থানে পৌঁছ হয়। ততক্ষনে বিদ্যালয়ের আধাপাকা ভবনটি সম্পুর্ন পুড়ে যায়।

বিদ্যালয় পরিচলানা পর্ষদের সভাপতি একেএম সাহেদ রেজা শিমুল ছাড়াও খবর পেয়ে ছুটে যান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতান, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা, ধলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মুন্সি ও প্রধান শিক্ষক মো: সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মাসুদ ভূঁইয়া জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের আধাপাকা ভবনটিতে আগুন দেখে শোরচিৎকার শুরু করে। স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন জানান, ১১০ ফুট দৈঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থ বিদ্যালয়ের এ আধাপাকা ভবনটিতে তিনটি শ্রেণি কক্ষ ও বিজ্ঞানাগার ছিল। এতে ভবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ৫১ জোড়া বেঞ্চ, ৪টি আলমিরা, ৩টি লেকচার টেবিল, ৩টি চেয়ার, বিজ্ঞান বিভাগের ৬০-৭০ হাজার টাকার যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের আরও একটি পাকা ভবন থাকলেও ওই ভবনে সব শ্রেণির পাঠদান সম্ভব হবে না। নতুন করে ভবন নির্মান করা না হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম ও পাঠদান করা যাবেনা।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এ.কে.এম শাহেদ রেজা শিমুল জানান, ১৯৭২ সালের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ৪শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৯৯৬ সালে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকট ও পাঠদানে অসুবিধা হচ্ছে দেখে তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই আধা পাকা ভবনটি নির্মান করে দিয়েছিলেন।

ফেনী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশান মাষ্টার রাশেদ বিন খালেদ জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা জানান, স্কুল ভবনটি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী বেশী। আমরা চেষ্টা করবো সংস্কার করার জন্য। এক্ষেত্রে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বি.কমের সাথে পরামর্শক্রমে উপজেলা পরিষদের কোন প্রকল্প থেকে ভবনটি সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হবে।