ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী আঘাত আসবে এমন আশঙ্কা ছিল: প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে চলবে ট্রেন সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন ফেনীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২০ ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করলেন আরেক নেতা, লিখলেন ‘আর পারলাম না নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেফতার তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে হামলা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরো জোরদারের অঙ্গিকার দেশে নেই ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীর, পালিয়েছেন যে রাষ্ট্রে
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

নোয়াখালীতে কারফিউ শিথিল হওয়ায় জনমনে স্বস্তি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৪  

দেশব্যাপী সহিংস, ধ্বংসাত্মক ও প্রাণহানির আন্দোলনের কারণে করফিউ জারির ফলে জনমনে একটা ভয় ও আতংক বিরাজ করছিলো। কখন আবার কি হয়? এ ভয় জনগণের মনে প্রশ্ন তুলেছিলো। কিন্তু সকল ভয় ও আতংক দূর করে কারফিউ আস্তে আস্তে শিথিল এবং জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু হওয়ায় এক ধরণের স্বস্তি ফিরে এসেছে। নোয়াখালীতে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিলো। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত কারফিউ আরো শিথিল হওয়ার কারণে জেলাতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন জনসাধারণ।

কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নোয়াখালীতে কোথাও কোনো সহিংসতা বা বড় ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই জেলাতে এক ধরণের স্বস্তি ছিলো। কিন্তু দেশব্যাপী সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারির কারণে অস্বস্তি ছিলো। কারণ দেশের কোথাও যদি পরিস্থিতির অবনতি ঘটে তাহলে এর প্রভাব নোয়াখালীতেও পড়তে পারে, এধরণের আতংক ছিলো। অবশেষে সব আতংক ও ভয় দুর করে কারফিউ শিথিল ও পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ও শান্তির বাতায়ন বইছে।

মোজাম্মেল হোসেন নামে একজন ঠিকাদার বলেন, কাজের কারণে সব সময় জেলা শহরে থাকতে হয়। আন্দোলনের শুরু থেকে দেখেছি, শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলো।পুলিশও তাদের কর্মসূচিতে কোনো ধরণের হস্তক্ষেপ করেনি। যার কারণে জেলাতে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।

ইকবাল নামে একজন অভিবাবক বলেন, আমার দুই ছেলে। একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। অন্যজন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে পড়ে। দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। সময় মতো তারা বাড়ি ফিরতে পারায় মনের ভয় দুর হয়েছিলো। কিন্তু সারাদেশে যেসব শিক্ষার্থী মারা গেছে তারাওতো আমার সন্তানের মতো। আমাদের নোয়াখালীতে কিছু হয়নি, এটা একটা স্বস্তি বিষয়।

আনিসুর রহমান নামে একজন চাকুরীজীবি বলেন, আমি ব্যাংকে চাকরি করি। পোষ্টিংও শহরের বাইরে। সময় মতো অফিসে ঢুকতে হয়। বের হতে হতে সন্ধ্যার পর হয়ে যায়। আন্দোলনের সময় যানবাহন সংকটের কারণে ঘরে ফিরতে দেরি হতো। পরিবার দুশ্চিন্তায় থাকতো। সেনাবাহিনী ও কারফিউ থাকার কারণে ভয় পুরোপুরি দুর হচ্ছিলনা। তবে আস্তে আস্তে কারফিউ শিথিল হওয়ায় ভয় কেটে যাচ্ছে।

কামরুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, গত বেশ কয়েক মাস ধরে ব্যবসার অবস্থা ভালোনা যাচ্ছেনা। তার উপর হটাৎ দেশে আন্দোলনের কারণে অবস্থা আরো খারাপ। কারফিউ কারণে মানুষ কম বের হয়। বাজার পরিস্থিতিও চড়াও। নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে।

জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকেই জেলা পুলিশ প্রশাসন অত্যান্ত দক্ষতার সাথে কাজ করেছে। আমাদের সদস্যরা কোনো উসকানিতে পা দেয়নি। শিক্ষার্থীরাও সুশৃঙ্খল কর্মসূচি পালন করেছে। তবে শেষ দিকে কিছু দুবৃর্ত্ত অনুপ্রবেশ করে অবস্থা ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে। পুলিশ সজাগ থাকার কারণে পারেনি। স্বস্তির বিষয় নোয়াখালীতে কোনো ধরণের ঘটেনি।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, অন্দোলনের শুরু থেকে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসেনর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছিলো। তবে নোয়াখালীতে কিছু না ঘটায় স্বস্তি পেয়েছিলাম। জেলাবাসীকে ধন্যবাদ, শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ। কারফিউ আস্তে আস্তে শিথিল হচ্ছে। উর্ধ্বতন মহলের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।