ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী আঘাত আসবে এমন আশঙ্কা ছিল: প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে চলবে ট্রেন সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন ফেনীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২০ ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করলেন আরেক নেতা, লিখলেন ‘আর পারলাম না নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেফতার তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে হামলা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরো জোরদারের অঙ্গিকার দেশে নেই ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীর, পালিয়েছেন যে রাষ্ট্রে
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

লক্ষ্মীপুরে স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধার অভিযোগ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪  

লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বশিকপুর স্কুল এন্ড কলেজ। আধুনিক ও সময়োপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত মানবসম্পদ তৈরি করে চলেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য প্রতিষ্ঠানের নকশা অনুযায়ী সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছে প্রায় সাড়ে চারশত ফুটেরও বেশি চওড়া ও ছয় ফুট উচ্চতার সীমানা প্রাচীর।

তবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে স্থানীয় মনছুর পাটোয়ারী বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা। এতে করে অনেকটা আতঙ্কের মাঝে রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি, অনিশ্চয়তার মাঝে পড়েছে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ।

আর স্থানীয়রা বলছেন, সকলের সম্মতিতে নকশায় স্বাক্ষর করে প্রতিষ্ঠানের সীমানা নির্ধারণ করা হলেও এখন আবার তারাই এ কাজে বাধা দিচ্ছেন। এদিকে, স্থানীয় আমিনুল ইসলাম মুন্সি সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর বাজার এলাকায় ১৯৭১ সালে দানবীর, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত হাজী আবুল কালাম এর হাত ধরেই স্থাপিত হয় এ প্রতিষ্ঠানটি।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘসময় স্থানীয়দের নানা প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সর্বমহলে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুম, নামাযের স্থান, নতুন ভবন, আধুনিক ক্লাসরুম, খেলাধূলার জন্য মাঠ সংস্কারসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য নির্মিত হচ্ছে সীমানা প্রাচীর। সীমানা প্রাচীরের পাশের সম্পত্তিগুলো দেখভালো করার জন্য চলাচলের রাস্তা প্রায় ৩ ফুটেরও বেশি থাকলেও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, ওই জায়গায় দোকানঘর নির্মাণের জন্যই দাতা সদস্য আমিনুল ইসলাম মুন্সি ও তাঁর স্বজনরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছেন। 

প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে গভণিং বডির কমিটি নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বেশিরভাগ সময়ই। এতে করে শিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষকরা চালিয়ে গেলেও পিছিয়ে পড়তে হয় উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে। তবে বর্তমানে জেলা শিক্ষা অফিসের সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানটি দেখভালো করায় খুশি সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন কমিটি না থাকলেও দাতা সদস্য পরিচয়ে তাদের আতœীয়-স্বজনরা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রভাব সৃষ্টি করছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করলে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হলেও ব্যক্তির উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এ কাজে বাধা দিচ্ছেন কেউ কেউ, দাবি তাদের।

বশিকপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল বাসেত জানান, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পত্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার তাঁর নেই। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যা ভালো মনে করেন তাই করবেন।