৩টি লাশ নিতে আসেনি পরিবার, শেষ ঠিকানা শ্মশানে

বন্দুকযুদ্ধে নিহত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্যের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বান্দরবান পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ লাশ নিতে না আসায় সোমবার (২০ মে) দুপুরে মরদেহ তিনটি বান্দরবান পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে পৌরসভার উদ্যোগে বান্দরবানের মিলনছড়ির লাইমিপাড়ায় এলাকার খ্রিষ্টীয় কেন্দ্রীয় শ্মশানে মরদেহগুলোর সৎকার সম্পন্ন করা হয়।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল ইসলাম জানান, যেকোনো বেওয়ারিস মরদেহ বান্দরবানে পৌরসভার মাধ্যমে সৎকার ও দাফন সম্পন্ন হয়। এই তিনজনের মরদেহগুলো নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ না আসায় পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় লাইমিপাড়ায় শ্মশানে সৎকার সম্পন্ন করেছে পৌরসভা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, মরদেহগুলো পার্বত্য এলাকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিনজন সদস্যের। তারা বান্দরবানের রুমা উপজেলার বাসিন্দা এডি থাং বম (২৪), রুয়াল সাং নুয়াম বম (২৩) ও রুয়াল মিন লিয়াম বম (২০)।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে দুপুরে বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি রৌনিন পাড়ার দেবাছড়া ও রুমার পাইক্ষ্যং পাড়ার সীমান্তবর্তী এলাকার গভীর অরণ্যে পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানার সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে যৌথবাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। এতে কেএনএফের তিন সদস্য নিহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি দেশি বন্দুক, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে রাতে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, মসজিদে হামলা ও পুলিশের অস্ত্র লুটের ঘটনায় রুমা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়। পরে ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আরও চারটি মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান শুরু করে। এ পর্যন্ত মোট ৯টি মামলায় ৮৭জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।