ব্রেকিং:
ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী আঘাত আসবে এমন আশঙ্কা ছিল: প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে চলবে ট্রেন সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন ফেনীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২০ ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করলেন আরেক নেতা, লিখলেন ‘আর পারলাম না নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেফতার তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে হামলা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরো জোরদারের অঙ্গিকার দেশে নেই ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীর, পালিয়েছেন যে রাষ্ট্রে প্রশ্ন ফাঁস: বড় হচ্ছে চক্রের তালিকা
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সোনাগাজীতে ১১ দিনেও সহায়তা পাননি জেলেরা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৩  

প্রজনন মৌসুমে সামুদ্রিক মাছ রক্ষায় গত ২০ মে থেকে ৬৫ দিন নদী, সমুদ্র ও সাগরের মোহনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ১১ দিন পরও ফেনীর সোনাগাজীতে নিবন্ধিত প্রায় দুই হাজার জেলে পরিবারের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছায়নি। নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরতে না পেরে আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেলেরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। পেটের দায়ে অনেকে মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, সোনাগাজী সদর ও আমিরাবাদ ইউনিয়নে ১ হাজার ৯৯৭ জন নিবন্ধিত জেলে পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে কার্ডধারী জেলের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন। মাছের প্রজনন মৌসুমে উপজেলার নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে মাত্র ৩৪৫ জেলে পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ১১ দিনেও কোনো বরাদ্দ আসেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন নিরাপদ করার জন্য মৎস্য বিভাগ মাছ ধরার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা করে। এসময়ে নদী ও সমুদ্রের মাছ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় করা যাবে না। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থেকে কাজ করছেন। প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ ৬৫ দিন নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য জেলেদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

Feni-3.jpg

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার চর খোন্দকার, দক্ষিণ পূর্ব চর চান্দিয়া ও পূর্ব চর চান্দিয়া এলাকার জেলেপাড়ায় সহায়তা না পেয়ে জেলারা অনেক কষ্টে দিন পার করছেন। অনেকে আবার পেটের দায়ে রাতের আধারে নদী ও সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে সূর্য ওঠার আগেই তীরে ফিরে এসে মাছগুলো আড়তদার ও ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করে জীবিকানির্বাহ করছেন।

নিবন্ধিত জেলেরা জানান, সোনাগাজীতে প্রায় তিন হাজার জেলে রয়েছে। সরকারিভাবে মাত্র দুই হাজার জেলেকে নিবন্ধিত করা হয়েছে। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়ে নিবন্ধিত জেলেরাও সরকারি সহায়তা না পেয়ে মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।

চর খোন্দকার জেলেপাড়ার প্রিয়লাল জলদাস বলেন, নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ। অনেক কষ্টে তাদের জীবিকা চলছে। কেউ কেউ বিভিন্ন সড়কের পাশে জলাশয় ও পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে পরিবারের খাবার জোগাড়ের ব্যবস্থা করছেন। অনেক জেলে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরতে না পারায় ঋণের টাকাও পরিশোধ করতে পারছে না।

Feni-3.jpg

হরলাল জলদাস জানান, গত কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় নদী ও সাগরের মাছ ধরতে যেতে পারেননি। এতে করে অনেক জেলে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যান না। সরকারি সহায়তাও পাননি। জীবিকার তাগিদে বড় ফেনী নদীর তীরে মশারির জাল দিয়ে চিংড়ির পোনা মাছ ধরে কোনোরকমে সংসার চালাচ্ছেন।

সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন বলেন, সরকারিভাবে বরাদ্দ চাল পাওয়া মাত্রই জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, ৬৫ দিন নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার নিবন্ধিত জেলে পরিবার রয়েছে। তবে সরকারিভাবে মাত্র ৩৪৫ পরিবারের জন্য প্রথম দফায় ৫৬ কেজি করে চাল বরাদ্দ আসবে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও ৩০ কেজি কেজি চাল বিতরণ করা হবে। সরকারিভাবে আর কোনো সাহায্য আসার সম্ভাবনা নেই। তবে অন্য জেলেদের জন্যও সাহায্য পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে।