ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী আঘাত আসবে এমন আশঙ্কা ছিল: প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে চলবে ট্রেন সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন ফেনীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২০ ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করলেন আরেক নেতা, লিখলেন ‘আর পারলাম না নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেফতার তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে হামলা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরো জোরদারের অঙ্গিকার দেশে নেই ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীর, পালিয়েছেন যে রাষ্ট্রে
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যত্রতত্র পশু জবাই

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৩  

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যত্রতত্র পশু জবাইয়ের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার গুলোতে পশু জবাই করে বাজারে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। পশু জবাইয়ের পূর্বে পশু রোগমুক্ত কিনা তা পরীক্ষা করে জবাইয়ের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার হাট বাজারগুলোতে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার উপর নির্দেশ থাকলেও জনবলের অভাবে পশু জবাইয়ের পূর্ব পরীক্ষা করেন না। কসাইদের অভিযোগ গরু ছাগল জবাইয়ের পূর্বে পরীক্ষা করতে হলে ডাক্তারদের টাকা দিতে হয় এছাড়াও সময়মত ডাক্তার পাওয়া যায় না।
জানা যায়, রোগাক্রান্ত, দুর্বল গরু, মহিষ, ছাগল জবাই করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এসব পশু জবাইয়ের পূর্বে ডাক্তারি পরীক্ষা না করিয়ে বিক্রি হচ্ছে মাংস।  তাছাড়া মহিষকে গরু বানিয়ে মাংস বিক্রি চলছে হরহামেশাই। যেন দেখার কেউ নেই। ক্রেতা সাধারণকে ঠকিয়ে মহিষের মাংস বিক্রি করে দাম নেওয়া হচ্ছে গরুর মাংস বলে। কসাইদের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি উপজেলাবাসী। নিজেদের ইচ্ছেমত দাম বসিয়ে মাংস বিক্রি করছে কসাইরা। গরুর মাংস সাড়ে ৭'শ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৭’শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। উপজেলার কাশিনগর,মিয়াবাজার,নালঘর,মুন্সিরহাট,কাদৈরবাজার,চৌদ্দগ্রাম বাজার,গুনাবতী,চিওড়া,ধোলকড়া বাজার সহ ছোট বাজার গুলোতে রয়েছে মাংসের দোকান। প্রতিটি বাজারে রয়েছে ৩-৪ টি করে মাংসের দোকান। মাংসের দোকানগুলোতে গরু, মহিষ, ছাগল জবাই করা হয় এসব দোকানগুলো থেকে আবার বিভিন্ন ছোট বাজার গুলোতে মাংস নিয়ে যাওয়া হয় খুচরা বিক্রি করার জন্য। উপজেলার অধিকাংশ মাংসের দোকানে পশু জবাই করার নেই কোনো জবাইখানা। আবার পৌরসভার একটি জবাইখানা থাকলেও সেটি পরিত্যক্ত প্রায় ১যুগেরও বেশি সময় ধরে।বেশীর ভাগ পশু জবাই করা হয় মহাসড়কের পাশে। ফলে পশুর রক্ত, পাকস্থলীর গন্ধে সড়ক পথে যাতায়াত করতে প্রতিনিয়ত দুভোর্গে পড়তে হচ্ছে পথচারী, শিক্ষার্থী সহ সাধারণ জনগণকে। আর যেসব বাজারে জবাইখানা রয়েছে সেগুলো ময়লা আবর্জনা ভরপুর। দূর্গন্ধের কারণে কসাইরা পর্যন্ত কাজ করতে চাই না। নোংরা পরিবেশে চলে পশুর চামড়া ছাটাইয়ের কাজ। জবাইখানা গুলোতে পশুর শরীরের অতিরিক্ত অংশ পচানোর জন্য কোন গর্ত বা যন্ত্র না থাকার কারণে পশুর নাড়িবুড়ি পচে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয় পাশ্ববর্তী এলাকাতে।

পশু জবাইয়ের পূর্বে ডাক্তারী পরীক্ষা করেন কিনা জানতে চাইলে চৌদ্দগ্রাম বাজারের এক মাংস বিক্রেতা জানান, আমরা পশু জবাই করি ভোরে ভোরে কিন্তু ওই সময় তো ডাক্তার পাওয়া যায় না। আর ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া পশু জবাই করলেও প্রশাসনের লোকজন কখনো আমাদেরকে বাঁধা দেয়নি। আমরা সুস্থ পশুই সব সময় জবাই করি।
উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারের মাংস ক্রয় করতে আসা সাদ্দাম হোসেন জানান,পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল, তা-ও জানেন না তাঁরা। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লোকজন মারা যাওয়া পশুর মাংস, নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়ার মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।আমি অনেকটা কসাইদের অন্ধ বিশ্বাস করে মাংস কিনেছি।একই কথা জানান ওই বাজারের ক্রেতারা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌসী আক্তার জানান, নির্দেশ থাকলেও আমার এখানে সার্জেন একজন।আর এই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি বাজারে ভোরে যাওয়া সম্ভব হয় না।উপজেলার বিভিন্ন বাজার থেকে ২৫ জন কশাইকে ট্রেনিং দিয়েছি।পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রন আইন সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি পাশাপাশি পশুদের যেসব ভাইরাস থাকলে জবাই করা যাবে না সেই বিষয়ে তাদের'কে সচেতন বৃদ্ধি করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন,পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এটি প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও কসাইদের মধ্যে সমন্বয় করে নেওয়ার বিষয়। আর পশুর মাংস বিক্রয়ের সময় বেশি মূল্য নিচ্ছে এই বিষয়টি আমার জানা নেই। আমরা খবর নিয়ে দেখছি, যদি এমন কোনো বিষয় থাকে তাহলে অবশ্যই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’