ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সোনাগাজীতে খোলা আকাশের নিচে বসে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই কক্ষের জরাজীর্ণ ভবন। এর একটিতে চলছে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণির ক্লাস। অন্যটিতে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষক। ভবনের এক কোনায় সিঁড়িঘরে চেয়ার-টেবিল পেতে চলছে দাপ্তরিক কার্যক্রম। ভবনের সামনের মাঠে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। সম্প্রতি সরে জমিনে এমন চিত্র দেখা মিলেছে।

সিঁড়িঘরে গিয়ে কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের সঙ্গে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রেণিকক্ষ–সংকটের কারণে দুই শিফটে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। তাদের ছুটি হওয়ার পর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসে। ক্লাস চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সকাল ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। খোলা আকাশের নিচেই তাদের পাঠদান করা হয়। তবে বর্ষায় দুই শিফট করার পরও নিয়মিত ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না বলে জানান তিনি।

বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা যায়, ভবনটির দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। পলেস্তারা খসে পড়েছে ছাদের। মেঝেতেও ফাটল স্পষ্ট। কিছু ফাটলে সিমেন্ট দিয়ে আস্তরণের পর লাগানো হয়েছে রং।

মাঠে গিয়ে কথা হয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসরাত সুলতানার সঙ্গে। সে জানায়, অনেক সময় কড়া রোদের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস হয় তাদের। এতে তাদের কষ্ট হয়। বর্ষাকালে বৃষ্টি না থাকলেও বেশির ভাগ সময় মাঠ ভেজা থাকে। তখন ক্লাস করতে অসুবিধা হয়।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, হাজীপুর গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। ৫৩ শতাংশ জমিতে টিন আর বেড়া দিয়ে বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু চার থেকে পাঁচ বছরের মাথায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিদ্যালয়টি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর দীর্ঘদিন সেটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি পুনরায় চালু করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে সরকারিভাবে দুই কক্ষের ভবনটি নির্মাণ করা হয়।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি এরই মধ্যে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নতুন ভবন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে যোগাযোগ করে আসছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি তিনি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। নতুন একটি ভবনের জন্য এরই মধ্যে লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।