ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কচুয়ায় ১৯ বছর পর ১০ একর সম্পত্তি ফিরে পেলো নিরীহ পরিবার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২  

চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের পর কচুয়ায় প্রায় ১৯ বছর পর ১০ একর ৪৩ শতাংশ সম্পত্তি ফিরে পেলো নিরীহ ফাতেমা বেগম এর পরিবার।

২৮ নভেম্বর সোমবার চাঁদপুরের বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালত অরুন পাল এর নিদের্শনা উপজেলার সহদেবপুর গ্রামের মাষ্টার বাড়িতে অবৈধ বাড়িঘর দখলীয়,নাল ও ভিটা সম্পত্তি উচ্ছেদ করে ভূমির মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন, কচুয়া সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন।

বাদী ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর যাবত আমরা আমাদের সম্পত্তি বুঝে পাইনি। আমার স্বামী এই সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার জন্য আদালত পাড়া ও বিভিন্ন স্থানে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের ১৯ বছর পর হলেও জেলা জজ আদালত ন্যায় বিচারের রায় দিয়েছেন। আদালতের রায়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পত্তি ফিরে পেয়েছি। আজকে আদালত লাল নিশান টানিয়ে আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমরা আদালতের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম এর ছেলে মেহেদী হাসান ইমন জানান, চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে ২০০৪ সালে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা দীর্ঘ শুনানি পর্যালোচনা শেষে প্রায় ১৯ বছর পর বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। পাশাপশি স্থায়ী ভাবে ভোগ দখলে যাতে যেতে পারি প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

বিবাদী পক্ষ মো. হুমায়ুন কবির জানান, কোনো লিগ্যাল নোটিশ ছাড়াই আমাদের বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, অনেকদিন ধরে আদালতে মামলা চলেছে, আজকে আদালতের লোকজন ভূমি সার্ভে করে বাদীর সম্পত্তি বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ভূমি সার্ভে শেষ হলে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের সম্পত্তি ঠিক আছে কিনা। যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

জেলা যুগ্ম জজ আদালতের নায়েব নাজির গাফফার খান নাদিম জানান, কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর গ্রামের মাস্টার বাড়ির ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম গং বাদী হয়ে ২০০৪ সালে চাঁদপুর জেলা যুগ্ম জজ আদালতে একটি দেওয়ানি বন্টন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২২/২০০৪। দীর্ঘদিন মামলা চলে আসার পর ২০২১ সালের জুন মাসে বিজ্ঞ জেলা যুগ্ম জজ মামলাটির রায় ঘোষণা ও ডিগ্রি জারি করেন। এতে বাদী ফাতেমা বেগম গংরা ১০ একর ৪৩ শতাংশ ৮০ পয়েন্টে সম্পত্তি ফিরে পায়। আদালতের রায় অনুযায়ী আজকে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ভূমি সার্ভে করে লাল নিশান টানিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি। এছাড়া বাদীর প্রাপ্ত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে এবং আদালতের রায় কার্যকর করতে ব্যবস্থা নিয়েছি।

কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, আমরা আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে এসেছি, বিশেষ করে কোনো ধরেনর আইনশৃঙ্খলা অবনতি হচ্ছে কিনা তার দিকে নজর রাখছি।

এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন,ইউপি সদস্য হান্নান মিয়া, পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।