ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

টানা ২৫ বছর ধরে মাজারে রান্না, উদ্দেশ্য খেদমত

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২২  

মো. আনোয়ার হোসেন। বয়স ৪৭ ছুঁইছুঁই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হযরত সৈয়দ আহমদ গেছুদারাজ কল্লা শহীদ (রহ.) এর একজন ভক্ত। ছোট বেলা থেকেই ভক্তি বিশ্বাস আর ভালোবাসা নিয়ে তিনি মাজারে আগত ভক্ত আশেকানদের খেদমতে নিরলস ভাবেকাজ করছেন। তার হাতের রান্নার বেশ সুনামও রয়েছে।

আনোয়ার পৌর শহরের খড়মপুর এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। বর্তমানে তার পরিবারে ১ ছেলে রয়েছে। মাজারে থেকে ভক্ত আশেকানদের দিন রাত খেদমত করতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেন।

আনোয়ার হোসেন জানান, ছোট বেলা থেকেই তিনি হযরত সৈয়দ আহমদ গেছুদারাজ কল্লা শহীদ (রহ.) এর একজন ভক্ত। যখন তার বয়স ১২-১৩ বছর তখন তিনি নিয়ত করেন তার মাজারে একদিন বাবুর্চি হয়ে ভক্ত আশেকানদের খেদমত করবেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তা যেন কবুল হয়। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে তিনি ঢাকায় একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রান্নার কাজের চাকরি পান। সেখানে বেশ কিছুদিন রান্নার কাজ করার পর কাউকে কিছু না বলে এক কাপড়ে সোজা তিনি খড়মপুর মাজারে চলে আসেন।

তিনি আরো জানান, ওই জায়গা থেকে কিভাবে আসা হলো তিনি কিছুই বলতে পারেন না। ওই জায়গায় থাকা অবস্থায় সার্বক্ষণিক মন অস্থির হয়ে থাকতো। এরপর থেকে শুরু হয় মাজারের খেদমতে রান্না করার কাজ। এক পর্যায়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এখানে প্রধান বাবুর্চি হন। আজও এখানে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন আমার কোন চাওয়া-পাওয়া নেই, মাজারের খেদমতে রান্নার কাজ করেই আনন্দ পাই। এখানে অগণিত ভক্ত আশেকানদের ভালোবাসায় আমার খুবই ভালো লাগে মনটা প্রফুল্ল থাকে। তাই যতদিন মাটির উপর আছি ততদিন মাজারে এ কাজ করে যেতে চাই। তার এ কাজে কোন চাহিদা বা চাওয়া নেই। খুশি হয়ে যা দেন তাতেই তিনি সন্তুষ্ট।

বাবুর্চি মো. আনোয়ার হোসেন আরো জানান, কল্লা বাবার ভক্ত আশেকানের খেদমতের কাজ ছাড়া তার কিছুই ভালো লাগে না। দৈনিক দুপুর ও রাতে দু’বেলা নিয়মিত খাবার রান্না করা হয়। দুপুরে এবং রাতে ভাত, মাংস আর সবজি রান্না করা হয়।  এ কাজে মোট ৩ জন বাবুর্চি, ৫ জন সহকারী এবং ৬-৭ জন নারী সদস্য রয়েছে।

তাছাড়া ওরশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্ত আশেকানদের সমাগম বেশি হওয়ায় এ জন্য অন্তত ২০-২৫ জন বাবুর্চি ৩০ জন  সহযোগী ও ২০-২৫ জন নারী সদস্য কাজ করেন।

মাজারের এমদাদ বাবুর্চি বলেন, ওস্তাদ আনোয়ার বাবুর্চির সঙ্গে তার এক টানা ১০ বছরের উপর চলছে এই মাজারে রান্না করার কাজ। রান্নার মাধ্যমে ভক্তদের সেবা করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। যতদিন বেঁচে আছি ততদিন কেল্লা বাবার ভক্ত আশেকানদের মুখে রান্না করা খবার তুলে দিতে চাই। এখানে প্রতিটা দিন উৎসব মুখর পরিবেশ থাকায় কাজ করতে ভালো লাগে।

তিনি আরো বলেন, খাদেম ও ভক্ত আশেকানদের কোনো বিয়ে, আকিকা ও সুন্নতে খৎনা, মৃত্যু বার্ষিকীসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে রান্নার প্রয়োজনে ডাকা হলে রান্নার কাজ করা হয়।

ঢাকা থেকে  থেকে আসা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমি এই মাজারের একজন ভক্ত। সময় সুযোগ হলে চলে আসি। যখনই আসা হয় এখানের তাবারক বা খাবার খাওয়া হয়। এখানের রান্না করা খাবার খুবই সুস্বাদু। 

উল্লেখ্য, ১০ আগস্ট শাহপীর কল্লা শহীদ (র.) এর সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ওরশ মোবারক শুরু হবে এবং ১৬ আগস্ট সমাপ্ত হবে। ১৪ আগস্ট বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত আশেকানরা আসতে শুরু করেছেন।