ব্রেকিং:
ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হঠাৎ স্কুল বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২১  

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি কোনো নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত শনিবার অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে বিদ্যালয়টি স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় প্রতিষ্ঠাতা নুরুল হক অসুস্থ থাকা ও তার পক্ষে ব্যয় ভার বহন করা অসম্ভব বলে জানানো হয়।

স্কুলটি ফের চালু করতে এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে ইউএনও’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

জানা যায়, নারীদের শিক্ষায় এগিয়ে নিতে ২০১৫ সালে মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। ব্যারিস্টার নুরুল হক দম্পতির সম্পত্তির উপর এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন অধ্যাপিকা আনোয়ারা বেগম হক। শুরু থেকেই কিশোরীদের স্কুলমুখী করতে এ বিদ্যালয়ে সকল ছাত্রীকে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের যাবতীয় উপকরণ ও পোশাক এবং শিক্ষকদের বেতনসহ সব ধরনের ব্যয় বহন করতেন প্রতিষ্ঠাতা। সুযোগ সুবিধা ভালো ও পড়ালেখায় সুনাম থাকায় আশপাশের এলাকার অভিভাবকদের প্রথম পছন্দ ছিল এ স্কুলটি। যার কারণে প্রতিবছরই এ স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। 

বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণাকে ষড়যন্ত্র দাবি করে রবিবার সোনাগাজী উপজেলা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করে স্কুলটি ফের চালু করতে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেন।

ওই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী নাসরিন আক্তার জানান, মাত্র ৩ মাস পরেই আমাদের এসএসসি পরীক্ষা। হঠাৎ বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণায় আমাদের অভিভাবকরা বিব্রত। তাছাড়া অন্যান্য ছাত্রীরা এখন কোথায় কোন স্কুলে যাবে। শিক্ষা জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আমরা চাই স্কুলটি পুনরায় চালু করা হক। আশপাশের মেয়েরা পড়াশোনা করে সমাজে আলো ছড়ানোর সুযোগ পাবে। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোহেল কামাল সিদ্দিক সোহাগ জানান, বর্তমানে স্কুলটিতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১৬৪ জন ছাত্রী রয়েছে। এদের কথা চিন্তা করে বিকল্পভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালানো যায় কিনা সে বিষয়ে আমরা ভাবছি। প্রতিষ্ঠানের দাতারা আর কোনো ব্যয় বহন করতে না পারায় তারা এটি বন্ধ ঘোষণা করেছেন। 

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নুরুল হক বলেন, দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ অবস্থায় আছেন। আমার পক্ষে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করা এখন আর সম্ভব নয়। তাই এটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  

সোনাগাজী উপজেলা ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত জানান, বিদ্যালয়টি চালুর জন্য  ছাত্রীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিষয়টির সমাধান  করার জন্য  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশাকরি স্কুলটি আবার চালু হবে।