ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কষাইখানা “কুমিল্লা আদর্শ হাসপাতাল”

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২১  

অসহায় বাক প্রতিবন্ধী পিতা সাইদুর রহমানের ৫ বছরের শিশু কন্যা তাসলিমা গত ৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে হঠাৎ অসুস্থ্য হলে তাকে কুমিল্লা শহরে নিয়ে আসা হয়। রোগীকে ভর্তি করা হয় কুমিল্লা সদরের ‘পিপলস হসপিটাল’ এ। হাসপাতালে স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল তার চিকিৎসা। সেখানে ডাক্তারও দেখানো হয়। ঐ হাসপাতালের কর্তব্যরত শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ কাইয়ুম রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুই ঘন্টা অবজারভেশনে রাখেন।

এর পরই বিপত্তিঘটে রোগীর দূসম্পর্কের এক মামী (সে বিভিন্ন হাসপাতালের দালাল) আসলে। রোগীর মামী (নাম জানা যায়নি) এক প্রকার জোর করেই শিশু তাসলিমাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে “কুমিল্লা আদর্শ হাসপাতাল” এ নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার সাথে সাথেই রোগীকে এনআইসিইউ এ রাখার কথা বলেন মাইন উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। পরে জানাযায় তিনি (মাইন উদ্দিন) সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক। রোগীকে এনআইসিইউ তে রাখা হয়েছে বলে দুই ঘন্টা রোগীর কোন অবিভাবককে দেখা করতে দেওয়া হয়না। পরবর্তিতে কিছুক্ষণ পর জানানো হয় রোগী মারা গেছে।

ঘটনা এখানেই শেষ না। এ যেন অক্ষয় কুমারের ‘গাব্বার রিটার্ন সিনেমা’ কুমিল্লায় মঞ্চস্থ। সিনেমায় লাশ আটকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে টাকা আদায় করতে দেখা যায়। এখানেও ঘটেছে একই ঘটনা। দুই ঘন্টার ব্যবধানে রোগী মারা গেল অথচ বিল করা হল ১২ হাজার টাকা। সিনেমার সাথে এখানে পার্থক্য সিনেমায় ডেথ সার্টিফিকেটের পাশাপাশি বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় আর আদর্শ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরো এক ধাপ এগিয়ে। তারা এখানে কোন লিখিত বিল দেননি। মৌখিক ভাবে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় লাশ আটকে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এভাবে এনআইসিইউ বিল বাবদ ১২ হাজার টাকা দিতে না পেরে বাক প্রতিবন্ধী অসহায় সাইদুর রহমান ভোর রাত প্রর্যন্ত হাসপাতালেই অপেক্ষা করে। এতেও কোন ভাবেই মন গলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। পরে সকালে অসহায় সাইদুর রহমান গ্রামে যেয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন ভাবে ৮ হাজার টাকার ব্যবস্থা করে হাসপাতালে দিলে মেলে মেয়ের লাশ।

এমন ঘটনায় মন কেঁদে উঠে জনতার ইশতেহার প্রতিনিধির। কুমিল্লা প্রতিনিধি বিষয়টির অনুসন্ধান করেন। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অন্য এক ঘটনা। অনুসন্ধানে জানা যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এনআইসিইউ বাবদ বিল করেছে অথচ হাসপাতালে কোন আইসিইউ বা এনআইসিইউ নেই। তাহলে প্রশ্ন উঠে হাসপাতালে রোগী আনার সাথে সাথে এনআইসিইউ তে রাখার কথা বলা হয়েছে। আর হাসপাতালে কোন এনআইসিইউ নেই। তাহলে এই দুই ঘন্টা রোগীকে কোথায় রাখা হয়েছিল? আর এই দুই ঘন্টা রোগীকে আদৌ কী কোন চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে? এসকল প্রশ্ন কর্তব্যরত ডাক্তার মাইন উদ্দিন বা কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেনা। এখন স্বাভিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে এটি কী কোন স্বাভাবিক মৃত্যু না কী টাকার নেশায় হত্যা?

এব্যাপারে ডা. মাইন উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আইসিইউ বা এনআইসিইউ বিল করা হয়নি। শুধু ৪টা টেস্টের বিল করা হয়েছে। আদোতে মধ্যরাতে মাত্র এক দেড় ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে এতগুলো টেস্ট করা ও এর ফলাফল দেওয়া সম্ভব কী না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ডা. মিজানের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।