অপকর্মের ফল পেতে যাচ্ছে তাসনিম খলিল

বিদেশে বসে পলাতক আসামীদের টাকাই বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছেন কথিত সাংবাদিক তাসনিম খলিল। ভেবেছিলেন সুইডেনে বসে থাকায় রেহাই পেয়ে যাবেন তিনি। কিংবা ভেবেছেন অর্থদাতা তারেক রহমান তাকে রক্ষা করবেন। কিন্তু না, কোনো সম্ভাবনাই কাজে আসেনি। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে মামলা হয়েছে তাসনিম খলিলের নামে।

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের অন্যতম সাইবার সৈনিক এই তাসনিম খলিল। বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি পুলিশ স্টেশনে এই মামলাটি করেছেন অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম এবং সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করার পর স্টকহোম থেকে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাসনিম খলিল বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত। এই তথাকথিত সাংবাদিক সুইডেনে বসে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তার ‘নেত্র নিউজ’ নামের অনলাইন পোর্টাল, ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এইসব অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘একটি ঘৃণ্য চক্র অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। তাসনিম খলিল এই চক্রের অন্যতম সদস্য। লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান এই চক্রের প্রধান। তাদের পেছনে আছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা। এই অপপ্রচারের জন্য তারা বিপুল পরিমাণ টাকা ঢালছে।’

মামলার কারণ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মামলা করেছি এই জন্য যে, এ ধরণের অপপ্রচার আর চলতে দেওয়া যায় না। আইনগতভাবেই এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সুইডেনের মাটিতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তাই এটা আমরা এই দেশের আইনের দৃষ্টিতে এনেছি।’

মামলার পর ভীত হয়ে পড়েন তাসনিম। ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়ে বসেন তার নামে কোনো মামলা তিনিই জানেন না। কিন্তু তিনি বোধহয় এটা জানেন না যে, মামলার পরপরই আসামীকে মামলার তথ্য জানানো হয় না। খুব শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তারও করা হবে।