ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী আঘাত আসবে এমন আশঙ্কা ছিল: প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে চলবে ট্রেন সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন ফেনীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২০ ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করলেন আরেক নেতা, লিখলেন ‘আর পারলাম না নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেফতার তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে হামলা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরো জোরদারের অঙ্গিকার দেশে নেই ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীর, পালিয়েছেন যে রাষ্ট্রে
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

উচ্চতর গণিতের প্রশ্নপত্রের সংখ্যায় গড়মিলের অভিযোগ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৩  

চলমান এসএসসি পরীক্ষায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উচ্চতর গণিতের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সংখ্যায় গড়মিলের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকদের অনেকে বলছেন, পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র সরিয়ে ফেলেছেন। বিষয়টি ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার অবগত থাকলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না কেন্দ্র সচিব।

জানা যায়, চলমান এসএসসি পরীক্ষার আজ রোববার (২১ মে) বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগে সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে ও বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চতর গণিতের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অধীনে মোট ৫৩৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। সেখানে বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চতর গণিত বিষয়ে একজন ও একই কেন্দ্রের উপ-কেন্দ্র গণিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উচ্চতর গণিতের প্রশ্নপত্রের বান্ডিলে ১৬০টি প্রশ্নপত্র থাকার কথা থাকলেও সেখানে ১৫৮টি প্রশ্নপত্র ছিল বলে জানা যায়। বাকি দুটি প্রশ্নপত্রের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্র সচিব মাহবুবুর রহমান তারেকের কাছে প্রশ্নপত্রের সংখ্যার গড়মিলের জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ ধরনের কোনো ঘটনা নেই। আপনাদের কাছে কে অভিযোগ করেছে? এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ করতে পারে। আমার কেন্দ্রে কখনো প্রশ্ন কম ছিল না, আজও নেই। আমার একটা মর্যাদা আছে, প্রতিষ্ঠানের একটা ভাবমূর্তি আছে। এগুলো নষ্ট করতে কেউ এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার ও বেগমগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, প্রশ্নপত্র যেগুলো কক্ষে পাঠানো হয় সেখানে গণনায় কম হতে পারে, প্যাকেটে কম-বেশি হতে পারে। বিজিপ্রেস থেকেও এ ভুল হতে পারে। সে ধরনের কিছু হয়েছে। মূল গণনার মধ্যে দুটি কম পাওয়া গেছে। ১৬০টি থাকার কথা থাকলেও ১৫৮টি ছিল। তবে বাকি দুটি প্রশ্ন কোথায় তা এখনো নিশ্চিত নই। অতিরিক্ত প্রশ্ন ইউএনও স্যারের হেফাজতে রাখা হয়েছে। উনি এখন মিটিংয়ে আছেন। উনি মিটিং থেকে এলে সেগুলো গুনে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রশ্নপত্রের গড়মিলের বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, প্রশ্নপত্রের সংখ্যায় গড়মিল থাকার একটা খবর পেয়েছি। আমি ট্যাগ অফিসার থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।