ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী আঘাত আসবে এমন আশঙ্কা ছিল: প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে চলবে ট্রেন সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন ফেনীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২০ ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করলেন আরেক নেতা, লিখলেন ‘আর পারলাম না নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেফতার তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে হামলা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরো জোরদারের অঙ্গিকার দেশে নেই ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীর, পালিয়েছেন যে রাষ্ট্রে
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

রং নম্বরে পরিচয়, দেখা করতে গিয়ে মাদরাসাছাত্রীর ‘সর্বনাশ’

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২৩  

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় রং নম্বরে পরিচয়ের পর অপহরণ করে এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।  

সোমবার নির্যাতিতা তরুণী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবকসহ আরো দুইজনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।  

অভিযুক্ত যুবকের নাম নাজিমুল হক সুমন (২৬)। তিনি জেলার সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নর পূর্ব সাহাপুর গ্রামের হাজী মজিবুল হকের ছেলে ও তার মেয়ে রুমি আক্তার (২৩)। অপর আসামি, মর্জিনা আক্তার (৪৩) উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মো. শাহীনের স্ত্রী। এছাড়াও মামলায় আরো ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।  

মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম উপজেলার স্থানীয় একটি ফাজিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত চার মাস আগে তার ব্যবহৃত নম্বর থেকে তার একজন সহপাঠীকে কল দেওয়ার সময় একটি নম্বর ভুল হয়ে নাজিমুল হক সুমনের (২৬) মুঠোফোনে কল চলে যায়। পরবর্তীতে সুমন তাকে প্রতিনিয়ত কল করতেন। এরপর সুমন ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখান। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি শুধুমাত্র ভিকটিমের সঙ্গে একবার দেখা করার অনুরোধ করেন।

ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দেখা করার প্রস্তাবে রাজি হন। একপর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুমন অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মাদরাসায় যাওয়ার পথে তাকে অপহরণ করে জেলা শহর মাইজদীতে নিয়ে যান। ওই সময় সুমন ভিকটিমকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় তার খালা মর্জিনা আক্তার স্থানীয় ইসমাইল মিয়া চৌকিদারের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রুমি আক্তার ও মর্জিনা আক্তারের সহযোগিতায় ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সুমন এবং ভিকটিমকে তাদের বসতঘরে আটকে রাখেন।

ভিকটিম গত রোববার ৭ মে ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠলে একটি মোবাইল থেকে কৌশলে তার কাছে ম্যাসেজ দিয়ে সংক্ষেপে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থলের নাম লিখে দেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যান।  

চরজব্বর থানার ওসি দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।