ব্রেকিং:
১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করবে সরকার সংকট উত্তরণের বাজেট বিমানে মন্ত্রী-সচিবদের প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত পিপিপি’র পাইপলাইনে নতুন ১৩ মেগা প্রকল্প সরকারের পদক্ষেপে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ হয়েছে প্যানেল স্পিকার হলেন কুমিল্লার প্রাণ গোপাল দত্ত ও আঞ্জুম সুলতানা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আরও বিনিয়োগ করুন সরকারের ঋণ কমেছে ২৩ হাজার কোটি টাকা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো দেশের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, ৩০ জেলে আটক চাটখিলে সরকারি সহায়তা পেল ৭১ পরিবার সুবর্ণচরে বিস্ফোরক মামলায় যুবদল নেতা কারাগারে হাতিয়ায় ৯ মণ সামুদ্রিক মাছসহ ৩০ জেলে আটক রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো গৃহবধূর ফেনসিডিল মামলায় যুবকের ৮ বছরের কারাদণ্ড ল্যাব ফাউন্ডেশন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা শাখার কমিটি নাঙ্গলকোটে সুইপারের লাশ উদ্ধার কুবিতে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিমানে জঙ্গলে ১৭ বছর মুক্তিযুদ্ধে ভিপি শাহআলমের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে
  • শুক্রবার ০২ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৮ ১৪৩০

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৪

রং নম্বরে পরিচয়, দেখা করতে গিয়ে মাদরাসাছাত্রীর ‘সর্বনাশ’

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২৩  

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় রং নম্বরে পরিচয়ের পর অপহরণ করে এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।  

সোমবার নির্যাতিতা তরুণী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবকসহ আরো দুইজনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।  

অভিযুক্ত যুবকের নাম নাজিমুল হক সুমন (২৬)। তিনি জেলার সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নর পূর্ব সাহাপুর গ্রামের হাজী মজিবুল হকের ছেলে ও তার মেয়ে রুমি আক্তার (২৩)। অপর আসামি, মর্জিনা আক্তার (৪৩) উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মো. শাহীনের স্ত্রী। এছাড়াও মামলায় আরো ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।  

মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম উপজেলার স্থানীয় একটি ফাজিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত চার মাস আগে তার ব্যবহৃত নম্বর থেকে তার একজন সহপাঠীকে কল দেওয়ার সময় একটি নম্বর ভুল হয়ে নাজিমুল হক সুমনের (২৬) মুঠোফোনে কল চলে যায়। পরবর্তীতে সুমন তাকে প্রতিনিয়ত কল করতেন। এরপর সুমন ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখান। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি শুধুমাত্র ভিকটিমের সঙ্গে একবার দেখা করার অনুরোধ করেন।

ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দেখা করার প্রস্তাবে রাজি হন। একপর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুমন অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মাদরাসায় যাওয়ার পথে তাকে অপহরণ করে জেলা শহর মাইজদীতে নিয়ে যান। ওই সময় সুমন ভিকটিমকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় তার খালা মর্জিনা আক্তার স্থানীয় ইসমাইল মিয়া চৌকিদারের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রুমি আক্তার ও মর্জিনা আক্তারের সহযোগিতায় ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সুমন এবং ভিকটিমকে তাদের বসতঘরে আটকে রাখেন।

ভিকটিম গত রোববার ৭ মে ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠলে একটি মোবাইল থেকে কৌশলে তার কাছে ম্যাসেজ দিয়ে সংক্ষেপে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থলের নাম লিখে দেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যান।  

চরজব্বর থানার ওসি দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।