ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারপ্রাপ্তের ভারে ন্যুয়ে পড়েছে হাতিয়া উপজেলা কৃষি অফিস

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তাসহ ১৫টি পদ শুন্য রয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা কৃষি অফিসে। এতে মাঠে তদারকির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উন্নয়ন। জনবল সংকট থাকায় নেই বাজার মনিটরিং । এর ফলে কৃষি প্রণোদনা, বোরো মৌসুমে সার ব্যবস্থাপনায় দেখা দিয়েছে সংকট।

কৃষি অফিস জানায়, হাতিয়া উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রায় ৮৮হাজার হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। ৩ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে করা হয়েছে বিভিন্ন সবজি চাষ। এছাড়া মৌসুমে আলু, খেসারী ডাল ও মুগডাল চাষে উপজেলার চাষিরা অনেক এগিয়ে রয়েছে।

হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় বিভিন্ন সময় ঝড় জলোচ্ছাস ও বন্যায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই বছর সিত্রাং এ ৬ হাজার ১শত ৭৫ হেক্টর জমির ধান ও রবী শষ্য সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া ঝড়ে , রোগ ব্যাধীতে আংশিক ক্ষতি হওয়া এসব ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নির্ভর করতে হয় উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের উপর। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কৃষকদের মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

হাতিয়ার দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরের কূলঘেসে অবস্থান নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের। এখানে আবাদি জমি রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ১শত ৬১ হেক্টর। কিছু রবী শষ্য চাষ করা হলেও মুলত ধান হলো এই ইউনিয়নের চাষিদের প্রধান উৎপাদিত পন্য। এখানে কৃষকদের দেখভাল করার জন্য উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তার পদ রয়েছে ৩টি। এর মধ্যে দুইটি পদ দীর্ঘদিন থেকে শুন্য রয়েছে। বর্তমানে একজন কৃষি কর্মকর্তা দেখভাল করছেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন।

নিঝুমদ্বীপের ২ নং ওয়ার্ডের কৃষক ছালা উদ্দিন জানান, তিন একর জমিনে আমন ধান চাষ করেছেন। অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় দুইবার রোপন করতে হয়েছে এসব ধান। এর পর লোনাই ও পোকায় আক্রমন করে। কিন্তু অন্যান্য ইউনিয়নের মত এখানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা না থাকায় নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খেতের পরিচর্যা করতে হয়েছে।

এই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, বিশাল এই ইউনিয়নর কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা তিনি দেখে থাকেন। মাঝে মধ্যে কৃষকরা মোবাইলে সেবা নিয়ে থাকেন। তবে ইউনিয়নের সব ওয়ার্ডে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সেবা দিতে কিছুটা সমস্যা হয়। তিনিসহ তিনটি ব্লকে তিনজন কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও তিনি সবকটি ব্লকের দায়িত্ব পালন করেন একা।
শুধু মাঠে নয়, জনবল সংকট রয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসে। সবশেষ ২০২১ সালের জুন মাসে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বদলী হওয়ার পর থেকে এই পদটি শুন্য রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে শুন্য অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পদটি। দুই জন কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা এখন উপজেলার সকল বিষয় দেখভাল করেন। এর মধ্যে সিনিয়র একজন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে ৩৭ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মধ্যে ১৫টি পদ শুন্য রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের অনেকগুলো কাজের মধ্যে সার ব্যবস্থাপনা একটি উল্লেখযোগ্য কাজ। এখান থেকে সারের মূল্য নির্ধারন ও মনিটরিং করা হয়। কিন্তু হাতিয়াতে সরকারী ভাবে ২২টাকা সারের মূল্য নিধারন করা হলেও বিভিন্ন বাজারের ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

কৃষকরা জানান, সরকারী ভাবে সারের মূল্য নির্ধারন করে দেওয়া হলেও হাতিয়াতে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা তা কখনো মেনে চলেন না। এখানে পরিবহন খরচ বেশি দেখিয়ে যে যার মত করে মূল্য নিয়ে থাকেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তেমন একটা মনিটরিং করা হয় না।

এসব বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন সবুজ বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস ও মাঠ পর্যায়ে কিছু কর্মকর্তার পদ শুন্য রয়েছে। এসব পদে জনবল নিয়োগের জন্য লেখিতভাবে জানানো হয়েছে। তকে কৃষকদের সেবা দিতে মাঠ কর্মকর্তার বাহিরেও উপজেলা কৃষি অফিসের লোকজন সব সময় তৎপর থাকেন। সার মনিটরিং এর ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।