ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নিঝুম দ্বীপের দেশ নোয়াখালী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২২  

 বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার একেবারে শেষপ্রান্ত, বর্তমানে ‘নিঝুম দ্বীপের দেশ’ বলে পরিচিত। নিঝুম দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত এবং এখানে আসা-যাওয়ার পথও এই হাতিয়া হয়েই। নোয়াখালী বললেই সাধারণত আমাদের দৃশ্যপটে যে চিত্র ভেসে ওঠে, নোয়াখালীরই একটি অংশ হয়েও এই দ্বীপের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। নিঝুম দ্বীপে দাঁড়িয়ে মনে হবে এই দ্বীপ আসলেই নিঝুম, যেন বাংলাদেশ ছেড়ে, পৃথিবী ছেড়ে অন্য কোনো এক স্বপ্নভূমি অবলোকন করছি। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত এই দ্বীপ অবারিত সবুজ, বৈচিত্র্যময় অদ্ভুত প্রাণচাঞ্চল্যের দ্বীপ। একদিকে ম্যানগ্রোভ বন ও অন্যদিকে বিস্তীর্ণ বালুরাশির এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা বৈচিত্র্যময় এবং সেইসঙ্গে কষ্টেরও বটে। অন্যদিকে পর্যটনের জন্য বড় একটি সম্ভাবনাময় জায়গা এই দ্বীপ। এই দ্বীপের সৃষ্টি মূলত বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা চরের সমন্বয়ে। সময়ের সঙ্গে বাড়তে বাড়তে আজ বিশাল এক ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছে। এবং ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা এসব চর বাংলাদেশের মানচিত্রে বেশ ভালোই প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়।

নিঝুম দ্বীপের অজানা কথা: ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসত গড়েন। তখন এই নামেই এর নামকরণ হয়েছিল। পরে হাতিয়ার সংসদ সদস্য আমিরুল ইসলাম কালাম এই নাম বদলে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করেন। মূলত বাল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং মৌলভীর চর- এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ। প্রায় ১৪,০৫০ একরের দ্বীপটি ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের দিকে জেগে ওঠে। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে জনবসতি গড়ে উঠে। ১৯৭০ এর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপটিতে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল না। ঘূর্ণিঝড়ের পরে তৎকালীন হাতিয়ার জননন্দিত নেতা আমিরুল ইসলাম কালাম দ্বীপটিতে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন যে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব নাই। তাই তিনি আক্ষেপের সুরে বলে ছিলেন হায় নিঝুম! সেখান থেকে দ্বীপটির নতুন নাম নিঝুম দ্বীপ। এ দ্বীপের মাটি চিকচিকে বালুকাময়, তাই জেলেরা নিজ থেকে নামকরণ করে বালুর চর। এই দ্বীপটিতে মাঝে মাঝে বালুর ঢিবি বা টিলার মতো ছিল বিধায় স্থানীয় লোকজন এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেও ডাকতো। বর্তমানে নিঝুম দ্বীপ নাম হলেও স্থানীয় লোকেরা এখনো এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেই সম্বোধন করে। বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছাড়ে। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। নোনা পানিতে বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবি করেন। নোয়াখালী জেলা প্রশাসন নিঝুম দ্বীপের দেশ নোয়াখালী নামকরণ করেন। নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপে অবস্থিত। ২০০১ সালের ৮ই এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে।

সন্ধান ও বসতি গড়ে ওঠা: চল্লিশের দশকের শেষের দিকে কিংবা পঞ্চাশের দশকের প্রথমে মানুষ প্রথম এর সন্ধান পায়। হাতিয়া, চর ফ্যাশন, রামগতি, শাহবাজপুর ইত্যাদি অঞ্চলের জেলেরা মাছের সন্ধানে যেতো দূর-দূরাঞ্চলে। এরাই প্রথম এই দ্বীপের সন্ধান পায়। দ্বীপের সন্ধান পাওয়ার বহুদিন পরেও দ্বীপে বসতি গড়ে ওঠেনি। পঞ্চাশের  দশকের শেষের দিকে খুব সম্ভবত ১৯৫৭ সালে প্রথম হাতিয়া সহ আশেপাশের কিছু অঞ্চলের বাথানিয়ারা (মহিষ পালক) সর্বপ্রথম এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করে। এই দ্বীপ স্থানীয়দের মধ্যে ইছামতি নামেও পরিচিত ছিল। নোয়াখালী অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় চিংড়ি মাছের নাম ‘ইছা’, ‘ইচা’ বা ‘ইছা মাছ’। নিঝুম দ্বীপের আশেপাশে প্রচুর চিংড়ি পাওয়া যেতো তখন। এ থেকেই এই নামে ডাকা হয়। চরজুড়ে উঁচু বালুর ঢিবি ও বিস্তীর্ণ বালুরাশির কারণে স্থানীয়রা এই দ্বীপকে ‘বাউলার চর’ও বলে থাকে। বাথানিয়াদের সর্দার ছিল বাতাইন্না ওসমান (বাথানিয়ার স্থানীয় নাম)। তার নামেই অনেকদিন এই দ্বীপ ‘চর ওসমান’ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৫৯-৬০ সালে বাংলাদেশের ভূমি বিভাগের চালানো জরিপে ওসমান বাতাইন্নার আন্তরিক সহায়তার কারণে তৎকালীন ভূমি অফিসার তার নামে দ্বীপের নাম দেন ‘চর ওসমান’। তখন থেকেই এই নামে দ্বীপটি পরিচিত ছিল। দ্বীপের উত্তরাংশের নাম চর কমলা, উত্তর-পূর্বাংশের নাম বন্দরটিলা। ৭০-এর দশক থেকে এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে মানুষের বসতি গড়ে ওঠে।  ১৯৭৯ সালে এই দ্বীপের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিকভাবে নিঝুম দ্বীপ রাখা হয়।

জীব বৈচিত্র্য: ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের বনবিভাগ এখানে উপকূলীয় বনাঞ্চল গড়ে তোলার কাজ শুরু করে। ২০ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রায় ২ কোটি ৪৩ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হয়। এই অঞ্চলের বনভূমির গাছপালার মধ্যে আছে কেওড়া, গেওয়া, কাঁকড়া, বাইন ইত্যাদি। এ ছাড়াও প্রায় ২১ প্রজাতির বৃক্ষ ও ৪৩ প্রজাতির লতাগুল্ম আছে এই দ্বীপে।
চিত্রা হরিণ, বন্য কুকুর, সাপ, বনবেড়াল ইত্যাদি প্রাণী ও সারস, মাছরাঙা, সোয়ালো, বুলবুলি, হট্টিটি, চিল, আবাবিল সহ প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখির সমন্বয়ে এই দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিবেচনায় অমূল্য সম্পদ। ১৯৭৮ সালে বনবিভাগ চার জোড়া চিত্রা হরিণ এনে দ্বীপে জঙ্গলে ছাড়ে। পরবর্তী কয়েক দশকে এর পরিমাণ বেড়ে বিশ হাজারের বেশি বলে জানা যায়। শীতকালে অতিথি পাখির বিচরণে এই দ্বীপ অনন্য এক রূপ ধারণ করে। সমগ্র বাংলাদেশে অতিথি পাখির যেই অপূর্ব বিচরণ দেখা যায়, তার মধ্য সবচেয়ে অভিন্ন, অনিন্দ্য এবং  বৈচিত্র্যময় দৃশ্যের দেখা মেলে এই দ্বীপে।
সমুদ্র বালুবেলার সামনে সূর্যকিরণ, অসংখ্য অতিথি পাখির উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য সব মিলিয়ে এক অন্য জগৎ এই দ্বীপ।

পর্যটন: বাংলাদেশের অন্যান্য পর্যটন এলাকার তুলনায় নিঝুম দ্বীপ অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। নোয়াখালী জেলার মূল অংশেই জীবনযাত্রার মান উন্নত নয়। সেদিক দিয়ে নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালীর মূল অংশ অনেকটা দূরে ভৌগোলিক অবস্থানের ক্ষেত্রে। হাতিয়া নোয়াখালীর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত নয়, সেখানে নিঝুম দ্বীপ তো হাতিয়া থেকেও আরও দূরে অবস্থিত। এহেন অবস্থা, অর্থাৎ দূরত্ব ও যাতায়াত সমস্যার কারণে এর পর্যটন এখনো অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে আছে। বেশ কষ্ট সহ্য করা এবং সময় ব্যয় করার মানসিকতা নিয়েই যেতে হবে নিঝুম দ্বীপে। সময় কম নিয়ে তাড়াহুড়া করলে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপলব্ধি সম্ভব নয়।
খুব সকালে হরিণ দেখা নিঝুম দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ। পূর্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে হরিণ থাকায় যেকোনো সময়ে হরিণের দেখা মিলতো। স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের শিকারে এবং বন্য কুকুরের শিকারে হরিণের দেখা মেলা এখন ভাগ্যের ব্যাপার। খুব সকালে বাইকে করে যেতে হবে হরিণ দেখতে চাইলে। হরিণের দেখা না মিললেও আফসোস করার খুব বেশি কিছু নেই। সকাল বেলা দ্বীপটি এমন দৃশ্য ধারণ করে যেই সৌন্দর্য দেখে যে কেউ কিছুক্ষণের জন্য অজানায় হারিয়ে যাবেন। এ ছাড়া যেদিন দুপুরে পৌঁছাবেন নিঝুম দ্বীপে, সেদিন সকালে ঘোরাঘুরি করতে নামাবাজার থেকে কোনো ট্রলার বা নৌকার মাঝির সঙ্গে কথা বলে ভাড়া নিতে পারেন। তিনিই আশেপাশের চরগুলোয় নিয়ে ঘুরিয়ে আনবেন চৌধুরী খালের মধ্যদিয়ে।

খালের মধ্যদিয়ে যেতে যেতে একপাশে দেখতে পাবেন অন্যরকম সবুজ ম্যানগ্রোভ বন। দেখা পেয়ে যেতে পারেন শেয়াল ও বন্য কুকুরের। এই দ্বীপের সূর্যাস্ত এতই মোহনীয় যে, কিছুক্ষণের জন্য আপনার মনে হবে আশেপাশের জগৎ স্তব্ধ হয়ে গেছে। প্রকৃতির এমন সান্নিধ্যে খেই হারিয়ে ফেলাটাও একেবারে ভিন্নরকম অনুভূতি। এ ছাড়াও আছে নামার বাজার সি-বিচ। বিচে ভাটার সময় গেলে পানির নাগাল পাওয়া যাবে না, জোয়ারের সময় যেতে হবে। নামাবাজার থেকে অল্প কিছু মিনিট হেঁটেই পৌঁছে যাবেন সেখানে। ম্যানগ্রোভ বনের ভেতরে ঘুরতে যাবেন দিনের বেলায়। এ ছাড়াও রাতের বেলা আশেপাশের পুরো এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন হেঁটে হেঁটে। রাতের বেলায় আকাশে তারার যে মেলা বসে, এরকম অসম্ভব অসহ্যকর সৌন্দর্য দেশের খুব কম জায়গায়ই আছে। শ্বাসমূলের বন, প্রমত্ত মেঘনার বুক চিরে যাত্রা, বনের ভেতর ভোরের মোহনীয় সৌন্দর্য, আচমকা ছুটে যাওয়া চিত্রা হরিণ, সমুদ্র বালুবেলা, গহীন রাতের খোলা প্রান্তরে তারার হাতছানি, নিঝুম এক পরিবেশে এক অনন্য প্রকৃতি অবলোকন, এসব মিলেই নিঝুম দ্বীপ।

যেকোনো জায়গার চেয়ে রহস্যময়, ভ্রমণপিপাসুদের রোমাঞ্চ দেয় এটি। যেকোনো ভ্রমণপিপাসুর জন্য অবশ্য দর্শনীয় স্থান এই বিচ্ছিন্ন, রহস্যময়, রূপসী দ্বীপ। ৩ বারের সাবেক এমপি, হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দ্বীপবন্ধু আলহাজ মোহাম্মদ আলী বলেন, দ্বীপবাসীর স্বপ্ন ছিল হাতিয়ায় শতভাগ বিদ্যুতের উন্নয়ন হবে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতিয়ার মানুষের স্বপ্ন পূরণে বিদ্যুৎ উন্নয়ন কাজের সূচনা করেছেন। এটি স্থাপনের মধ্যদিয়ে হাতিয়াবাসীর জীবনযাত্রার ব্যাপক উন্নয়ন হতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, হাতিয়া দ্বীপ-নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি বসানোর কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। ১৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ করছে দেশ এনার্জি নামীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে বিতরণ ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকবে পিডিবি।

প্রতিবেদক : স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক মানবজমিন, নোয়াখালী।