ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কোম্পানীগঞ্জে ৬০০ একর খাস জমি দখলের অভিযোগ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২২  

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউপির মুছাপুর ক্লোজারে ভুয়া ভূমিহীন সাজিয়ে ৬০০ একর সরকারি খাসজমি দখল করে বসত ভিটা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার আলী আজগর জাহাঙ্গীর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক মাটির ভিটা বানানো হয়েছে।

সোমবার (২৮ মার্চ) উপজেলার মুছাপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ক্লোজারে গিয়ে দেখা যায় কোনো বাধা ছাড়াই ইচ্ছেমত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন ভিটি বাঁধছেন। ফলে সরকারের শত কোটি টাকার জায়গা বেহাত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে ডাকাতিয়া নদীর ওপর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। এর ফলে বেড়িবাঁধের মুখে ডাকাতিয়া নদী থেকে আনুমানিক ৭০০ একর নতুন চর জেগে উঠে। এক সময় বনবিভাগ ওই জায়গায় চারাগাছ রোপণ করে। এখন স্থানীয় ইউপি সদস্য দুই শতাধিকের বেশি ভুয়া ভূমিহীন সাজিয়ে ৬০০ একর আবাদযোগ্য ও অনাবাদি খাস জমি দখল করে সেখানে বসত ঘর করার জন্য মাটির ভিটা বানাচ্ছে। প্রত্যেকটি ভিটার পরিমাণ হবে এক একর। অভিযোগ রয়েছে এরজন্য ভিটা প্রতি নেয়া হচ্ছে ১ লাখ টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।

 

মুছাপুর ক্লোজারের সামনে জেগে উঠা চরে পাঁচটি স্কেবেটারে মাটি কেটে ভিটা বাধার কাজ চলছে।

মুছাপুর ক্লোজারের সামনে জেগে উঠা চরে পাঁচটি স্কেবেটারে মাটি কেটে ভিটা বাধার কাজ চলছে।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মুছাপুর ক্লোজারের সামনে জেগে উঠা চরে পাঁচটি স্কেবেটারে মাটি কেটে ভিটা বাধার কাজ চলছে। এতে তদারকি চালাচ্ছে প্রায় শতাধিক মানুষ। গণমাধ্যম কর্মীদের সেখানে যাওয়া নিষেধ বলেও জানান তারা। ওই সময় দেখা যায় চর দরবেশ এলাকার আবদুস সোবহানের ছেলে কালাম খাস জায়গায় মাটি কাটার কাজ করছে। 

কালাম জানান, মুছাপুরের চরদরবেশ গ্রামের স্থানীয় জনগণ এখানে ভিটা ভরাটের কাজ করছে। আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ পরিবার হবে বলেও মন্তব্য করেন। 

তিনি আরো জানান, ‘এ জায়গার মধ্যে বাড়ি হবে। স্থানীয় মেম্বার জাহাঙ্গীর জানে। তারা অর্ডার দিয়েছে। মেম্বারের ভাই জালাল সবাইকে বসিয়ে দিচ্ছে। 

আপনারা কি কাউকে টাকা দেওয়া লাগছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিজেদের ভিটা নিজেরা বেঁধে নিচ্ছি। যা চার-পাঁচ হাজার টাকা খরচ যায়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুছাপুর ইউপির ৭ নম্বর মেম্বার আলী আজগর জাহাঙ্গীর বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে উপজেলা থেকে অথবা বোর্ড অফিস থেকে কোন নির্দেশ আসলে আমি সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে এটার প্রতিবাদ করব এবং বন্ধ করব। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা খাস জায়গা, না ব্যক্তি মালিকানার জায়গা এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। আমি জানি এটা নদী ছিল তারপর চর জাগে। এরপর কাউকে বন্দোবস্ত দিছে কিনা এ বিষয়ে জানা নেই। কাউকে বন্দোবস্ত দিলে সে পাইছে। আর খাস থাকলে সরকার ব্যবস্থা নিবে।’

 

মুছাপুর ক্লোজারের সামনে জেগে উঠা চরে পাঁচটি স্কেবেটারে মাটি কেটে ভিটা বাধার কাজ চলছে।

মুছাপুর ক্লোজারের সামনে জেগে উঠা চরে পাঁচটি স্কেবেটারে মাটি কেটে ভিটা বাধার কাজ চলছে।

তিনি আরো বলেন, আমার দুই ভাই এবং আমি খাস জায়গা দখলের সঙ্গে জড়িত নই। আমি খাস জায়গা দখলের বিষয়ে পরিষদে জানিয়েছি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল আমিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমার নায়েবকে কালকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে খাস জমি দখলের কাজ বন্ধ হয়নি এমনটি জানালে তিনি জানান, আইন-শৃঙ্খলা মিটিং শেষে আমি নিজে ঘটনাস্থলে যাব।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন আমি মেম্বারকে ফোন দিচ্ছি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেখানে আমরা একটা পর্যটন কেন্দ্র করার উদ্যেগ নিয়েছি। এজন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।