ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

৩০ বছর ধরে চলাচলের রাস্তা নেই

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২১  

বর্ষা এলেই নৌকা যাদের একমাত্র ভরসা, হাটুপানিতে দূর্ভোগ আর ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন। কাঁচাপাকা কোন রাস্তাই নেই তাদের।

নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সাধুরখিল বড় মুন্সী বাড়ীর বাসিন্দা মাওলানা নুর নবী ও মাওলানা শফিক উল্যাহ্ প্রায় ৩০ বছর আগে বিলের মাঝখানে বসতবাড়ি তৈরি করেন৷ এরপর থেকে নিজেদের একটি রাস্তার জন্য বলা যায় রীতিমত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন এই দুই পরিবার।

জনপ্রতিনিধির বারান্দা থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সাম্প্রতিক সরকারিভাবে একটি রাস্তা নির্মাণের বন্দবস্ত হলেও মোহাম্মদ কামাল হোসেন নামক স্থানীয় এক ব্যক্তির বাঁধার মুখে আটকে আছে নির্মাণ কাজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- রাস্তাটির নির্মাণ কাজ ৯০ভাগ সম্পন্ন হলেও সামন্য একটু জায়গার জন্য আলোর মুখ দেখছে না রাস্তাটি।

অথচ কামাল হোসেন একটু মানবিক আচরণ করলেই দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটে দুই পরিবারের সদস্যদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কামাল হোসেনের জমিনের সাথে তৎকালীন হালটের একাংশ মিলিত হয়। কিন্তু নকশায় সেই অংশ না থাকার কারনে অনেকটা কৌশলে করে নিজের জমির সাথে যোগ করে হালটের সেই অংশ নিজের বলে দাবী করছে সে। স্থানীয়দের দাবী- কামাল হোসেন তার কাগজপত্র মতে নিজের নির্ধারিত সম্পদ পরিমাপ করে বাকিটা ছেড়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, অথচ তিনি সেটা না করেই অতিরিক্ত দখল করে রাখছেন।

তবে ঠিক কেন তিনি একটি রাস্তা নির্মাণে মানবিক হচ্ছেন না? বা নিজের সম্পদের বাহিরে অতিরিক্ত অংশ নিজের বলে দাবী করছেন? এ ব্যাপারে কামাল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে সমাজকর্মীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে হাইকোর্টের ভূমি সংক্রান্ত বিজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন- এটি অত্যন্ত অমানবিক, একটি গর্হিত কাজ। যেখানে রাস্তা তৈরিতে সহযোগিতা করার কথা সেখানে বাঁধা প্রধান অনভিপ্রেত। কারো চলার পথে বাঁধা সৃষ্টি করা রাষ্ট্রীয় আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।

জনাব, কামাল হোসেন কোনভাবেই নিজের দলিলের বাহিরে ভূমির অতিরিক্ত অংশের মালিক নন। অতিরিক্ত অংশের মালিক রাষ্ট্র বা সরকার। যেহেতু তার ভূমির পাশেই ছিলো তাই তিনি সেটা ভোগ করতে পারেন কিন্তু নিজের দাবী করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন না৷ সরকার বা সংশ্লিষ্টরা উপযুক্ত মনে করেছেন বলেই রাস্তাটার অনুমতি দিয়েছেন এখন তার উচিৎ নিজের ভূমি পরিমাপ করে বাকি অংশের দখল ছেড়ে দেওয়া। না হলে তিনি আদালতে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন। চাইলে সামাজিকভাবেই এটি সহজে সমাধান করা সম্ভব।