ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

‘আমার বউ-মেয়ে সব শেষ, আমার আর কেউ নাই রে’

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২১  

রাজধানীর মগবাজারে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহতদের রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এর মধ্যে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।  

এদিকে হতাহতদের আর্তনাদে হাসপাতালগুলোর পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। এছাড়া বিস্ফোরণের খবরে নিখোঁজ স্বজনদের অনেককে হাসপাতালে খুঁজতে দেখা গেছে।

শিশুকন্যা সুবাহানা এবং স্ত্রী জান্নাতকে হারিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন সুজন। জরুরি বিভাগে ফোনে কাঁদতে কাঁদতে বারবার তিনি বলছিলেন, আমার বউ-মেয়ে সব শেষ। আমার আর কেউ নাই রে, তোরা কে কোথায় আছোস হাসপাতালে আয়।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুজন জানান, বিকেলে স্ত্রী জান্নাত মোবাইলে তাকে জানিয়েছিলেন মেয়ে সুবাহানা ও ছোট ভাই রাব্বিকে নিয়ে মগবাজারে শর্মা হাউজে কর্মরত এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারা আর ফিরল না। 

সুজন ঢাকার মগবাজারে রমনা ফার্মেসিতে কাজ করেন। ফার্মেসি থেকে একটু দূরেই সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখা যায়, সুজন জরুরি বিভাগের সামনে আহাজারি করছেন। 

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে মেঝেতে লুটিয়ে আহাজারি করতে করতে সুজন বারবার বলছিলেন, আমার সব শেষ, আর কিছু রইল না। আমার আর বেঁচে থেকে কী হবে।

স্বজনেরা জানান, সুজন স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন বড় মগবাজার এলাকায়। দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে। কয়েক দিন আগে তার শ্যালক রাব্বি বাসায় বেড়াতে আসে। গতকাল বিকেলে স্ত্রী জান্নাত তার ভাইকে নিয়ে মগবাজারে শরমা হাউসে যাওয়ার কথা বলেন। এ জন্য সবুজের কাছ থেকে টাকাও নেন।