ব্রেকিং:
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সফল জননী হিসেবে পুরস্কৃত হলেন রত্নগর্ভা মা মনোয়ারা বেগম

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২০  

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে সফল জননী হিসেবে পুরস্কৃত হলেন রত্নগর্ভা মা মনোয়ারা বেগম। 

‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ কার্যক্রমের আওতায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

অসম্ভব দৃঢ়চেতা এ সফল জননী শত প্রতিকূলতার মাঝেও হাল না ছেড়ে এগিয়ে গিয়ে সফলতা অর্জন করায় এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। 

শুধু কোম্পানীগঞ্জেই নয়, মনোয়ারা বেগম নোয়াখালী জেলা পর্যায়েও সফল জননী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দিয়েছেন। 

ইউএনও মো. জিয়াউল হক মীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন এ পুরস্কার প্রদান করেন। 

জানা যায়, দারিদ্রতার বোঝা, অভাবের তাড়না কোনো কিছুই তাকে দমাতে পারেনি। তিন সফল হয়েছেন। সফলতা এনে দিয়েছেন তার সন্তানদের। 

মনোয়ারা বেগম ১৯৩৯ সালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম হাবিবুর রহমান ও মায়ের নাম মরিয়ম নেসা। ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণকারী এই সফল নারীর খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয় একই গ্রামের সাধারণ পরিবারের সন্তান আনোয়ার উল্যা সিরাজীর সঙ্গে। 

স্বামীর চাকরি ছিল পাকিস্তান টেলিফোন বিভাগে। স্বাধীনচেতা স্বভাবের কারনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় চাকরি ছেড়ে দেন আনোয়ার উল্যাহ সিরাজী। 

স্বামী চাকরি ছাড়ার পর মনোয়ারা বেগম মাটি কামড়ে সংসারের হাল ধরেন। চালিয়ে নেন সন্তানদের পড়াশোনা। অনেকদিন বেকার থাকার পর স্বামী চাকরি পান প্রাইমারি স্কুলে। কিন্তু বেতন কম, অথচ বড় সংসার। অভাব থাকা সত্ত্বেও ৬ ছেলে সন্তান ও ৪ কন্যা  সন্তানের জননী দৃঢ়চেতা মনোয়ারা বেগম একটুও বিচলিত হননি। 

গভীর মনোযোগ দিয়ে সন্তানদের পড়াশোনার দিকে নজর রেখেছেন পাশাপাশি স্বামী এবং সংসারের দিকেও। মনোয়ারা বেগমের একটাই প্রত্যয় ছিল-না খেয়ে থাকতে হলেও হাল ছাড়বেন না। সন্তানদের মানুষ করতে হবে। জীবনে নানান প্রতিবন্ধকতা এসেছে, কিন্তু তিনি লক্ষচ্যুত হননি। 

শাকসবজি চাষ আর হাতের কাজ করে বড় সংসারের অন্ন জুগিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন লক্ষ্যের দিকে। পেয়েছেন শিক্ষানুরাগী স্বামীর অকুন্ঠ সহযোগীতা। সাধারণত যা হয়, অধিক সন্তান থাকলে কেউ মানুষ হয়, কেউ হয় না। কিন্তু মনোয়ারা বেগমের ক্ষেত্রে তা হয়নি। তিনি হতে দেননি। তাই তিনি ব্যতিক্রম, তিনি জয়ীতা। 

১৯৯১ সালে স্বামী হারা মনোয়ারা বেগম প্রথমে দুঃখিনী মা, তারপর সংগ্রামী মা, অবশেষে তিনি বিজয়ী মা। তার ৬ ছেলের মধ্যে প্রথমজন নূরুল হুদা সিরাজী বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির অবসরপ্রাপ্ত উপপরিচালক, দ্বিতীয় ছেলে মাসরুরুল হুদা সিরাজী প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত এমডি, তৃতীয় ছেলে করিমুল হুদা সিরাজী নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, চতু্র্থ ছেলে নাজমুল হুদা সিরাজী ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ, পঞ্চম ছেলে বদরুল হুদা সিরাজী বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর কমান্ডার, ষষ্ঠ ছেলে মাইনুল হুদা সিরাজী চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক ও একজন জনপ্রিয় লেখক। অপরদিকে ৪ কন্যা সন্তানের সবাই উচ্চ শিক্ষিত।