নারী শাসন চলে যেসব সমাজে
নোয়াখালী সমাচার
প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২৩
আমাদের সমাজ চলে পুরুষের কথায়। বেশিরভাগ পরিবারের ছোট সদস্যরা শৈশব থেকেই জেনে বড় হয় পিতার কথাই শেষ কথা। এই সমাজ ব্যবস্থায় মায়ের কথার গুরুত্ব অনেকাংশেই কম। আবার আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের বিয়ের পর নিজ পরিবার ছেড়ে আসতে হয় শ্বশুরবাড়ি। সেখানেই স্বামী সংসার নিয়ে বাকি জীবন পার করা লাগে। কিন্তু এমন যদি হতো বিয়ের পর বর চলে এলো মেয়ের বাড়িতে এবং মেয়ের মতামত বা ইচ্ছাই হলো সমাজের নিয়ম!
এমনটা আমাদের সমাজে কাল্পনিক বা হাস্যকর বিষয় হলেও কিছু কিছু সমাজে এইটাই বাস্তব। মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীরাই হয় প্রধান। এই সমাজ ব্যবস্থায় সমস্ত সম্পত্তি বংশানুক্রমিকভাবে নারীদের মধ্যেই হস্তান্তরিত হয়। মায়ের সম্পত্তির ভাগ পান মেয়েরা। এখানে ছেলে সন্তান উত্তরাধিকার নয়। এমনকি ছেলেরা বিয়ের আগে যদি উপার্জন করে সেই সম্পদেরও দাবি বিয়ের পর করতে পারে না।
পরিবার ও সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে এই সমাজের নারীরাই। বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার প্রচলন আছে। তেমনই কিছু সমাজ ব্যবস্থার কথা নিয়ে আজকের আয়োজন।
১. আকান
এই সমাজ ব্যবস্থা মূলত মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এখানে সব কিছুই নির্ধারণ হয় মাতৃতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে। সকল প্রাপ্তবয়স্ক নারীরাই এই সমাজের মুখ্য ভূমিকা পালক করে। নারীরা তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারলেও অনেক পুরুষ তাদের পরিবারের সদস্যদের সাহায্য সহযোগী করতে পারে না। ঘানাতে এই আকান জনজাতির লোকজন সংখ্যাধিক্য নিয়ে বসবাস করে আসছে।
২. মিনানকাবাউ
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রার এই জনগোষ্ঠীর বসবাস। সেখানে প্রায় চল্লিশ লক্ষ মানুষের জনবসতিপূর্ণ এলাকা নিয়ে এই মিনানকাবাউ সমাজ গঠিত। বলা হয়ে থাকে এটিই পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ মাতৃতান্ত্রিক সমাজের উদাহরণ। এখানে নিয়ম অনুসারে সম্পত্তি মায়ের কাছে থেকে মেয়ের কাছে যায়। তারা মনে করেন মা বা নারী হলেন সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাই পরিবারের সকল সিদ্ধান্ত তাদের হাতেই থাকে।
তবে পুরুষরা রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক দিকে আধিপত্য বিস্তার করেন। বিবাহের সময়ও নারীরা তাদের পছন্দের পুরুষকে নির্বাচন করেন। তাদের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, প্রত্যেক পুরুষ স্বামী হিসেবে তার স্ত্রীর সাথে রাত্রিবাস করে কিন্তু সকালবেলায় প্রাতরাশের জন্য তার মায়ের বাড়িতে ফিরে যায়। এছাড়া দশ বছর বয়সের পরে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা গৃহ ত্যাগ করে একটা নির্দিষ্ট স্থানে দলগতভাবে বসবাস করে এবং শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এই উপজাতির প্রধান একজন পুরুষ হলেও একজন নারীই এই প্রধানকে নির্বাচন করে এবং সকল ক্ষমতা নারীর কাছেই থাকে।
৩. মোসুও
এই জনগোষ্ঠীর প্রতিটি পরিবার এখানে তাদের নিজস্ব গৃহে বসবাস করে এবং প্রতিটি পরিবারের প্রধান হন একজন নারী। পরবর্তীতে সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে গণ্য হয় এই নারীদের সন্তান। ব্যাবসা, রাজনীতি বা পারিবারিক সিদ্ধান্ত এখানে সব গুরুত্বপূর্ণ কাজই নারীরা করেন। এমনকি মোসুও শিশুরা মায়ের পদবী গ্রহণ করে এবং মায়ের কাছেই বড় হয়।
এই নারীরা তাদের পছন্দ মতন পুরুষকে বিবাহ করে। মূলত তিব্বতের সীমানায় বসবাসকারী ইউনান এবং সিচুয়ান প্রদেশের কাছে মোসুওরাদের মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠিত। তবে চীনের সরকার সরকারিভাবে এই জাতিটিকে সংখ্যালঘু এবং নাক্সি নামে ঘোষণা করে। কিন্তু মোসুওরা সংস্কৃতি এবং ভাষাগত দিক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি সম্পূর্ণ একটা আলাদা মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় গড়ে ওঠা জাতি।
৪. নাগোভিসি
এই জনগোষ্ঠীর নারীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন নেতৃত্ব মূলক কাজ ও উৎসবের সমস্ত কাজে জড়িত থাকে। নারীদের দিক থেকেই সম্পত্তি বা জমির মালিকানা বংশানুক্রমিক ভাবে হস্তান্তরিত হয়। এই সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে নিউ গিনির পশ্চিমে অবস্থিত দক্ষিণ বোগেনভিল নামের একটি দ্বীপে। নাগোভিসি মহিলারা গৃহের কাজ, বাগান করা বা কৃষি কাজের মতনই গুরুত্ব দেয় যৌনতাকেও। তাই এই সমাজে বিবাহ সংগঠিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়।
৫. ব্রিব্রি
কোস্টারিকার লাইমন প্রদেশের তালামাঙ্কা ক্যান্টনে এই জনগোষ্ঠীর বসবাস। বলা হয় এটিই সবচেয়ে ক্ষুদ্র মাতৃতান্ত্রিক সমাজ। মাত্র তেরো হাজার জনসংখ্যা নিয়ে এই জাতি গঠিত। অন্য সব জাতির মতনই এরাও সবাই একত্রে বসবাস করে। তবে প্রতিটি পরিবার স্বতন্ত্র। এই জনগোষ্ঠীর পরিবারের প্রধান একজন নারী বা মা। এই নারীরাই ঐতিহ্যগত এবং বংশানুক্রমিক ভাবে সম্পত্তি ও জমির মালিকানা ভোগ করেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠানে নারীদের প্রধান্য দেওয়া হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তারাই করেন।
৬. গারো
এই সম্প্রদায়ের নারীরা মায়ের থেকেই সব সম্পদ প্রাপ্ত হন। এদের সম্পত্তি বংশানুক্রমিকভাবে মায়ের থেকে মেয়েরা পেয়ে থাকেন। বিয়ের পর পুরুষ তার স্ত্রীর গৃহে বসবাস করে। রাজনীতি বা সমাজ ব্যবস্থায় গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে এখানের নারী সদস্যরা। তাদের জন্য বিয়ে করলেও সারাজীবন একসঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক নয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গারো সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
৭. খাসিয়া
বাংলাদেশের সিলেট ও ভারতের আসামে এ জনগোষ্ঠীর বসবাস। তারা কৃষি কাজের মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তারাও যেহেতু মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা মেনে চলে তাই তাদের সমাজেরও সব নিয়মকানুন একজন নারীই ঠিক করে থাকে। তাদের সমাজ ব্যবস্থায় কোনো পুরুষ সম্পত্তির মালিক হয় না।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
- নোয়াখালীতে কারফিউ শিথিল হওয়ায় জনমনে স্বস্তি
- নোয়াখালীতে আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
- মেঘনায় ধরা পড়ল ৬ কেজির পাঙাশ
- সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান চলছে
- পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা
- ঢাবিতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হবে কিনা, যা বললেন উপাচার্য
- আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
- সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক দিল বেরোবি
- দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে যা বললেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে’
- কাদেরকে নিয়ে টালমাটাল আওয়ামী লীগ
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ
- আনিকার মারা যাওয়ার খবরটি গুজব, আনিকা সুস্থ আছেন
- সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
- সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
- কোটা আন্দোলনে গুলিতে নিহত ফেনীর কাউছারের দাফন
- ফেনীতে হতদরিদ্র খেটে খাওয়া ১০ হাজার মানুষকে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা
- আ.লীগ নেতাকে গুলি করা সেই যুবক কারাগারে
- ১৬ বছরের ইফাতের বুকের বাঁ পাশে ছিল গুলির চিহ্ন
- নোয়াখালীতে পত্রিকা হকারদের মাঝে চাল বিতরণ পৌর মেয়রের
- কোটা: নোয়াখালীতে পুলিশের ওপর হামলায় ২ মামলা, গ্রেপ্তার ১৬
- নোয়াখালীতে কারফিউ শিথিল সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত
- লক্ষ্মীপুরে সাপের ছোবলে গৃহবধূ হাসপাতালে
- লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
- ‘মামলাবাজ’ কৃষক লীগ নেতার কাছে জিম্মি ভিক্ষুক পরিবার
- লাইসেন্সসহ বিআরটিএ’র চার সেবা বন্ধ
- ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে চাকরি: ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎ
- ভেঙে দেওয়া হলো আওয়ামী লীগের ২৭ ইউনিটের কমিটি
- ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী
- বন্ধ থাকা ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে রেলওয়ে
- লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- ২১ বছরেও হয়নি চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নির্বাচন
- মাছের সাথে উঠে এলো বিষধর রাসেলস ভাইপার
- রোহিঙ্গা সমস্যায় পাশে থাকবে চীন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রবাসীর স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করল মোবাইল মেকানিক
- শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর চোখ,সত্যতা পেয়েছে কমিটি
- মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যৌথভাবে কাজ করতে হবে
- নোয়াখালীতে বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত, আরেক ছেলেসহ আহত ৫
- লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়েছে ১৫ দোকান
- কোটাবিরোধীতায় অশুভ শক্তি নেমেছে : ওবায়দুল কাদের
- রামগতিতে পাঁচ বছরেও চালু হয়নি বায়োমেট্রিক হাজিরা
- ফেনী জেলার ১০ শতাংশের বেশি মানুষ প্রবাসী
- লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রযুক্তি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা
- আন্দোলনকারীরা বক্তব্য দিতে চাইলে আপিল বিভাগ বিবেচনায় নেবেন
- বাংলাদেশকে ১০০ কোটি টাকা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া
- এনজিওর নামে প্রতারণা: ফেনীতে তিন কোটি টাকা নিয়ে উধাও
- সাত মাসেই কোরআনে হাফেজ লক্ষ্মীপুরের ফাহিম
- প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ভিডিও মেকানিকের হাতে, অতঃপর...
- লক্ষ্মীপুরে যুব সমাজের মাঝে নারী সাংসদের ফুটবল বিতরণ
- ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে হামলা