ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

এবার গুঁড়িয়েই দেওয়া হলো দিল্লির সেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২১  

ভারতের উত্তর প্রদেশের দিল্লি সীমান্তে রোহিঙ্গাদের এক অস্থায়ী শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে গৃহহীন হয়ে অসংখ্য পরিবার রাস্তার পাশে বাস করতে শুরু করেছে। সম্প্রতি ওই শিবিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছিল, এবার এবার তা ভেঙেই দেওয়া হলো।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, উত্তর প্রদেশের মদনপুর খাদারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবিরটিতে কিছুদিন আগেই আগুন লেগেছিল। ফায়ার সার্ভিস সে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যাম্পের অধিবাসীদের বক্তব্য ছিল, বার বার তাদের ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রশাসন তখন সে কথা মানতে চায়নি। সম্প্রতি সেই ক্যাম্পলাগোয়া উত্তর প্রদেশের সেচ দপ্তরের জমিতে তৈরি হওয়া শিবির বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্যাম্পের ভেতর তৈরি করা একটি অস্থায়ী মসজিদও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

উত্তর প্রদেশ ইরিগেশন বিভাগ এই অপারেশন চালিয়েছে। তবে মসজিদ ভাঙার কথা প্রশাসন স্বীকার করেনি।

দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জেলা শাসক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোনো মসজিদ ভাঙা হয়নি। মসজিদের মতো দেখতে কোনো কাঠামো সেখানে ছিল না। কেবলমাত্র টেন্টগুলোই ভাঙা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, একটি টেন্টের ভেতরেই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।

জেলা প্রশাসকের দাবি, উত্তর প্রদেশের ইরিগেশন বিভাগের জমির ওপর কোনো অনুমতি না নিয়েই ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল। তাদের সেখান থেকে তুলে নতুন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়াই ছিল উদ্দেশ্য।

বস্তুত, ভারতের উত্তর প্রদেশ প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে নানা আলোচনা করছিল। অভিযোগ, দিল্লি সরকারকে বার বার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও কোনো লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্নরের হস্তক্ষেপে গত মঙ্গলবার দিল্লি প্রশাসন এবং উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই ক্যাম্প ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সমাজকর্মীদের বক্তব্য, ক্যাম্প ভেঙে দেওয়ার পরে অন্তত ১৬টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারা রাস্তার ধারে বসবাস করতে শুরু করেছে। যার ফলে ট্র্যাফিকের সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। তাদের যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে। দ্রুত এর সমাধান না হলে সমস্যা আরো বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ওই ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বক্তব্য, তাদের আর যাওয়ার জায়গা নেই। বাধ্য হয়েই তারা অস্থায়ী টেন্ট তৈরি করে থাকছিলেন। কোনোরকম আগাম বার্তা না দিয়ে টেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের বহু জিনিসও নষ্ট হয়েছে।