ব্রেকিং:
ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের পাশে ফেসবুক

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২১  

ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এখন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার জন্য সহজেই হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারে। নতুন কিছু মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করার জন্য ফেসবুক চলতি মাসে বাংলাদেশি কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

ফেসবুকের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার বলা হয়, জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার লক্ষ্যে ফেসবুকের যে চলমান প্রচেষ্টা, এটি তারই একটি অংশ।

২০১৯ সালে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় ১৭ শতাংশ বিভিন্ন রকম মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে। তাদের মধ্যে ৯২ শতাংশ কাউন্সেলিং বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য নেয় না। ফেসবুকের মাধ্যমে এখন থেকে ব্যবহারকারীরা সরাসরি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, মনের বন্ধু এবং কান পেতে রইয়ের মতো সংস্থার সহায়তা পেতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো আত্মহত্যা, হতাশা, উদ্বেগ এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় নিয়মিত কাউন্সেলিং সেবা দিয়ে আসছে।

বিষয়টি সম্পর্কে ফেসবুকের গ্লোবাল সেফটি পলিসির পরিচালক করুনা নেইন বলেন, ‘এই বছর মহামারি মানুষকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপনের পাশাপাশি নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হতে বাধ্য করেছে। আমরা তাদের জানাতে চাই যে তারা একা নয়, আমরা তাদের আশপাশের এমন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে চাই, যারা তাদের কথা শুনবে এবং সহযোগিতা করতে পারবে।’

ফেসবুক মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার সমাধান করতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম ফিচার তৈরি করছে। ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডসে আত্মহত্যা ও আত্মঘাতী কনটেন্ট প্রতিরোধী নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের কাজকে আরো কার্যকর করতে ফেসবুক এবার সূচনা ফাউন্ডেশন ও মনের বন্ধুর মতো স্থানীয় অলাভজনক সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছে।

সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও ডাব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্য এবং অটিজমবিষয়ক ডিরেক্টর জেনারেলের উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘মানসিক অবসাদ মোকাবেলায় সবচেয়ে ভালো উপায়গুলোর একটি হলো পরিবার ও বন্ধুদের সংস্পর্শে থাকা। বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ফেসবুকের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ বিষয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সহজে যোগাযোগ করতে পারা মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।’

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘সমাজে মানসিক সমস্যা বাড়ছে; কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সীমিত। মানসিক সমস্যা সম্পর্কে অজ্ঞতা ও ভুল ধারণা সমস্যাটিকে আরো প্রকট করে তুলছে। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম মানসিক সমস্যা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে এ সমস্যা মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে। সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুককে এই ব্যাপারে ভূমিকা রাখার জন্য আমি স্বাগত জানাই।’

জানা যায়, বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে এ রকম সংস্থাগুলোর সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ স্থাপন করতে ফেসবুক বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মহামারির যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে সবাইকে সহযোগিতা করাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য। নিজের ক্ষতিসাধনমূলক ছবি যেন কেউ পোস্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে ফেসবুক গত বছর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ এ ধরনের ছবি অন্যকে মনের অজান্তেই আত্মঘাতী আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে আরো সহজে যোগাযোগ করিয়ে দিতে কাজ করছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ফেসবুক তাদের সেফটি সেন্টার ভিজিট করতে বলেছে।