ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ হেঁটে চলার রাস্তা!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ রাস্তা তৈরি হয়েছে ইউরোপ, আফ্রিকা আর এশিয়ার মধ্য দিয়ে। প্রকৃতি আর মানুষের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এই রাস্তাটি।

২২ হাজার ৩৮৭ কিলোমিটার লম্বা এই রাস্তা ধরে হেঁটে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে রাশিয়ার মাগাদানে আসা যাবে। এক হিসেবে দেখা গেছে প্রতিদিন যদি ৮ ঘণ্টা করে হাঁটেন তবে ৫৮৭ দিন লাগবে আপনার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রাশিয়া পৌঁছাতে। আর ১৯৪ দিন হাঁটা লাগবে যদি কোনো বিরতি ছাড়া হেঁটে চলেন। এমন খবর দিয়েছে ভ্রমণ বিষয়ক সাইট এক্সপ্লোরার ওয়েব।

অবাক হচ্ছেন? এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হেঁটে যাওয়ার রাস্তা, যেখানে কোনো বাঁধা ছাড়াই পায়ে হেঁটে রাশিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রাশিয়া যাওয়া সম্ভব। যাত্রাপথে পড়বে অন্তত ১৭টি দেশ। ছয়টি টাইম জোন। যে এই রাস্তা ধরে হাঁটবেন, সে কয়েকটি ঋতু পরিবর্তনও দেখতে পাবেন। যাত্রাপথে পাবেন অনেক আবহাওয়া। এই যাত্রাপথকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হেঁটে চলার রাস্তা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মাউন্ট এভারেস্টে ১৩ বার উঠানামা করলে এই রাস্তার হেঁটে চলা পথের সমান হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে হেঁটে হেঁটে যেতে হবে রাশিয়ার মাগাদানে। মাঝে পড়বে বোস্তাওয়ানা, জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, তানজানিয়া, উগান্ডা, দক্ষিণ সুদান, সুদান, জর্জিয়া, মিশর, জর্ডান, সিরিয়া, তুরস্ক, রোমানিয়া আর বেলারুস। দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রাম লা আগুলাস থেকে শুরু হবে হাঁটা। হাঁটতে হবে কয়েকটি বিপজ্জনক স্থান দিয়েও। এরপর যেতে হবে জিম্বাবুয়ে, যেই দেশ বন্যপ্রাণীর জন্য বিখ্যাত। এ যাত্রা চমকপ্রদ আর চ্যালেঞ্জিং।

এরপর পড়বে মোজাম্বিক আর জাম্বিয়া। হেঁটে যাবেন উগান্ডার ন্যাশনাল পার্কের সামনে দিয়ে। দক্ষিণ সুদানে প্রবেশের পর ভয়ই লাগবে। কারণ এ দেশটি  চুরি ডাকাতির জন্য বিখ্যাত। এরপর সুদানে এসে পাড়ি দিতে হবে সাহারা মরুভূমির কিছু অংশ। সুদান থেকে মিশরে যাওয়ার ভারো রাস্তা নেই। মিল থেকে জর্ডানে ঢুকতে হবে। এরপর ইসরায়েল, এরপর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া। সিরিয়া থেকে হেঁটে যেতে হবে তুরস্কে। এরপর জর্জিয়া, অবশেষে রাশিয়া। রাশিয়ায় এসে দেখতে হবে সাইবেরিয়ার বৈরি শীত। এই পথ ধরে হেঁটে পৌছে যাবেন রাশিয়ার শহর মাগাদানে।

এখন পর্যন্ত অনেকেই অনেক লম্বা রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার রেকর্ড করেছেন কিন্তু এই রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার রেকর্ড এখনো কেউ করেননি। কারণ অনেক দেশের সরকার ব্যবস্থা স্থিতিশীল না, অনেক দেশে ভিসা নিয়ে জটিলতা আছে, অনেক দেশে আবার বৈরি আবহাওয়া। অনেকেই আবহাওয়া আর খাবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না।