ব্রেকিং:
ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

যেভাবে তৈরি হলো ‘হাওয়া’র আবহসংগীত

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২২  

সম্প্রতি পুরো দেশজুড়ে আলোচিত বিষয় মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালিত সিনেমা ‘হাওয়া’। গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত রহস্যে ঘেরা এ সিনেমার আলোচনার সূত্রপাত হাশিম মাহমুদের গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ হলেও পরবর্তীকালে সিনেমার ট্রেইলার, পোস্টার ও মেঘদল ব্যান্ডের উৎসর্গ করা প্রমোশনাল গান ‘এ হাওয়া’র মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। আর এই ছড়িয়ে পড়ার পেছনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, সে সিনেমার গান, শব্দ বা আবহসংগীত। মুক্তির আগেই বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া এ সিনেমাটির আবহসংগীত যিনি করেছেন তার মুখোমুখি হয়েছে ।

যাকে আবহসংগীতের অন্যতম একজন পথিকৃত বলা যায়। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে যিনি কাজ করছেন সংগীত নিয়ে। জনপ্রিয়তা পাওয়া অসংখ্য কাজে তিনি আবহসংগীতের কাজ করেছেন। যিনি ‘হাওয়া’ সিনেমাসহ ‘এ হাওয়া’ গানের-ও আবহসংগীত করেছেন। তিনি দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড মেঘদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, গিটারিস্ট ও কম্পোজার। আবার কখনো কখনো কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি আবহসংগীতের অন্যতম এক ব্যক্তিত্ব রাশিদ শরীফ শোয়েব।

শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে আড্ডা থেকে যাত্রা শুরু হয় ব্যান্ড মেঘদলের। ফরাসি কবি শার্ল বোদলেয়ারের কবিতা থেকে নেয়া মেঘদল শব্দটি যা অনুবাদ করেছেন কবি বুদ্ধদেব বসু। সেখান থেকেই এই ব্যান্ডের নামকরণ। সে ব্যান্ডের একজন অন্যতম সদস্য মেজবাউর রহমান সুমন। যিনি ‘হাওয়া’র পরিচালক।

নিজ ব্যান্ডের একজন সদস্য ও বন্ধুর প্রথম সিনেমার কাজে আবহসংগীত করা নিয়ে রাশিদ শরীফ শোয়েব বলেন, মেঘদলের শুরু থেকেই সুমনের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ও কাজ করা। এ পর্যন্ত অনেক কাজ করেছি একসঙ্গে। সুমন যখন ফিকশন বানিয়েছে তখন ওর দুই-একটা কাজ বাদে বেশিরভাগ ফিকশনের মিউজিক-ই আমি করেছি। তবে ওর সিনেমায় এটাই প্রথম কাজ করা। বলতে পারেন এটা ১৮ বছর ধরেই একরকম প্রস্তুতি ছিল। সুমনের প্রথম সিনেমায় আমি মিউজিক করবো, যেটা যৌথ একটা স্বপ্ন দেখার মতো। এবং সেই সিনেমাটাই হলো হাওয়া। 

হাওয়ার গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাওয়া হলো পুরনো মিথ বা পৌরাণিক কাহিনী। চাঁদ সওদাগর ও মনসার যে মিথলজি সেই মিথের ওপর নির্ভর করেই হাওয়ার কাহিনী। আসলে পুরনো একটা মিথকে এই সময়ে এসে নতুন চোখে দেখা। 

আবহসংগীত করার ক্ষেত্রে তার ভাবনা কী ছিল এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  এটা একটা সমুদ্রের গল্প। এবং সমুদ্রের গল্প মানেই দুটো জিনিস সবসময় থাকে। তা হলো, শব্দ ও হাওয়া। সুতরাং আমরা ঢেউ শুনবো, মাঝে মাঝে বাতাস বা হাওয়া অনুভব করবো। যার কারণে আমাদের প্রথম চেষ্টাটাই ছিল এই পুরো গল্পের সঙ্গে শব্দটা মিলেমিশে থাকবে। আমরা এমন মিউজিক করবো যেটা এই অ্যাম্বিয়েন্স, এই সাগরের একটা অংশ হয়ে থাকবে। 

হাওয়ার সাউন্ডট্রেক মূলত তিনটা ইন্সট্রুমেন্টের ওপর বেজ করে করা ভয়েসসহ। এই তিনটা ইন্সট্রুমেন্ট মোটামুটি তিনটা মোটিভের গল্প বলে। ইতোমধ্যে আমরা ট্রেইলারে দুইটা ইন্সট্রুমেন্ট ও একটা ভয়েস শুনেছি। কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পেইনগুলোতেও আমরা ভয়েসটা শুনি, ‘আইয়ো আইয়ো আয়’। এই যে একটা ভয়েস, একটা নারীর ভয়েস, যেটা ছবির গল্প বলার জন্য আমরা মিউজিক হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নির্বাচন করি। আর দুইটা ইন্সট্রুমেন্টের মধ্যে বাঁশি এখানে একটা প্রধান ইন্সট্রুমেন্ট। এবং আরেকটা ইন্সট্রুমেন্ট হলো সারিন্দা।

এই ভয়েস নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ভাবনা কী ছিল এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো সবসময় ঠাকুরমার ঝুলি শুনি। বৃদ্ধ দাদু-নানুর কাছে গল্প শুনি। এটাই এই ভয়েস নির্বাচনের একটা ফর্ম। যেটা আমরা একজন ন্যারেটারের পয়েন্টঅফ ভিউ থেকে দেখতে চেয়েছি। কেউ একজন মিউজিক্যালি ন্যারেট করছে। ওই ভাবনা থেকেই করা। আসলে যারা মনোযোগ দিয়ে ছবিটা দেখবে তারা হয়তো এই ভয়েসের সঙ্গে গল্পের যোগাযোগটা খুঁজে পাবে। শব্দের কানেকশনটা বুঝতে পারবে।

মূল ব্যাপারটা ছিল সংগীতটা আসলে শব্দের সঙ্গে মিলেমিশে থাকবে। হাওয়ার মিউজিক করতে গিয়ে এই ভাবনাটাই কাজ করেছে। আরেকটা বিষয় বললে ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার হয়। তা হলো, এই সিনেমার গুলতি যে চরিত্রটা আছে, তার একটা থিম আছে। সেই থিম মিউজিক হিসেবে আমরা এই মিউজিক নির্বাচন করেছি। গুলতি যেমন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে সিনেমায় আর্বিভূত হয়, তেমনি তার সঙ্গে মিউজিকটাও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে বেজে ওঠে। তবে সুরটা কিন্তু একই থাকে। আর এই সুরটাকেই অমরা গুলতি চরিত্রের থিম মিউজিক বলছি।

যে থিমটা কফিল আহমেদের বিবিধ গান ও আমাদের এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী কিছু গীতের সংমিশ্রণে করা। অবশ্য কফিল আহমেদের গানে এমনিতেই গীতের একটা আবহ পাওয়া যায়। গুলতি থিমটা আসলে এই দুইটার সংমিশ্রণ থেকেই তৈরি করা হয়েছে।