ব্রেকিং:
ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী আঘাত আসবে এমন আশঙ্কা ছিল: প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে চলবে ট্রেন সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন ফেনীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২০ ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করলেন আরেক নেতা, লিখলেন ‘আর পারলাম না নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেফতার তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে হামলা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরো জোরদারের অঙ্গিকার দেশে নেই ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীর, পালিয়েছেন যে রাষ্ট্রে প্রশ্ন ফাঁস: বড় হচ্ছে চক্রের তালিকা
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

দাগনভূঞা পৌর এলাকায় সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২৪  

ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভায় বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা না থাকায় যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। স্থানীয়রা এসব ময়লার স্তূপের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় হাত দিয়ে নাক-মুখ বন্ধ করে রাখেন। এ ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা এসব জায়গা অতিক্রম করার সময় গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাননি। আবর্জনার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা একটি পরিবারের এক নারী সদস্য পৌর মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পাননি। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি, শিগগিরই এ সংকট কেটে যাবে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের পাশে নিয়মিত আবর্জনা ফেলা হয়। গত দুই বছর ধরে টানা ময়লা ফেলায় পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কৃষ্ণরামপুরের এই জায়গাটি এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধ আর ছড়িয়ে পড়া জীবাণুর কারণে স্থানীয় অনেক বাসিন্দারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অবস্থা এতটাই বেগতিক যে, অনেকেই এলাকা ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। 

পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজের সামনে, থানার সামনে ও সালামনগর ব্রিজের সামনে পৌরসভার আবর্জনা ফেলা হয়। এ ছাড়া ভাষাশহিদ সালাম মেমোরিয়াল কলেজ ও পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সামনে ফেলা ময়লার স্তূপের দুর্গন্ধে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মারাত্মক দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে একাধিকবার অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিত দাগনভূঞা পৌরসভাটি ২০১২ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। কৃষ্ণরামপুর এলাকার বাসিন্দা আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই ময়লার স্তূপ। সারা দিন মাছি ভন ভন করে। আমার পরিবারের সবাই এরই মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে আমিসহ এলাকার অনেকেই মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি।’

ময়লার স্তূপের সামনেই পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের কার্যালয়। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানান, পচা-আবর্জনা আর সেগুলো পোড়ানোর ধোঁয়ার তীব্র গন্ধে অফিসে যেতে কষ্ট হয়। স্তূপের পাশের চা-দোকানি মো. বাবুল জানান, কাছেই ময়লার স্তূপ থাকায় সারা দিন দোকানে মাছি ওড়ে। দুর্গন্ধে দোকানে থাকাই কষ্টকর হয়ে যায়। ক্রেতা এলেও তারা নাক বন্ধ করে কোনো রকমে চা খেয়ে চলে যান। সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক নূর আলম জানান, স্তূপের পাশ দিয়ে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে হয়। গাড়ি চালানোর কারণে নাকে হাতও দিতে পারি না।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইমাম হোসেন ইমু জানান, ময়লা-আবর্জনা উন্মুক্ত স্থানে ফেললে বাতাসের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়ায়। এতে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থাকে।

ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, ‘ময়লার ভাগাড়ের কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। শিগগিরই তারা সেখান থেকে ময়লা অপসারণ করবে। পৌর মেয়র আমাকে বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জায়গা নির্ধারণ করে পরিবেশসম্মত উপায়ে বর্জ্য অপসারণ করা হবে।’

দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান খবরের কাগজকে বলেন, ‘পৌরসভার আবর্জনার জন্য আমরা একটি প্রজেক্ট পেতে যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’