পূজামণ্ডপে কুরআন শরিফ রাখা ইকবাল অপ্রকৃতস্থ?

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখায় সেই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ইকবাল হোসেন নামের এক যুবককে। সে রাতে হনুমানের গদা হাতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করা এই ইকবাল হোসেন কে গ্রেপ্তারে গত কয়েকদিন ধরে চলছে জোর অভিযান।  ইকবাল হোসেনের (৩৫) বাবার নাম নূর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লা নগরের সুজানগর এলাকায়। 
অষ্টমির আগের রাতে দূর্গাপূজার মন্ডপে পাশের একটি প্রতিমার পায়ের উপর পবিত্র কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে সারাদেশ। এমন একটি স্পর্শকাতর ঘটনার নেপথ্যে কারা বা কে? মঙ্গলবার ওই ব্যক্তি সনাক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল। মন্ডপে সিসিটিভি না থাকলেও আশেপাশের বেশকিছু 
সিসিটিভির বিভিন্ন ফুটেজে পর্যালোচনা করে দেখা যায় সপ্তমীর ঐ রাতে নানুয়াদিঘীর অদূরে এক ব্যক্তি দারোগাবাড়ী শাহ আব্দুল্লাহ গাজীপুরী (রহ.) এর মাজার থেকে একটি গ্রন্থ সদৃশ্য কিছু হাতে করে নিয়ে বের হতে । এর এক ঘন্টা পর একই ব্যক্তিকে দেখা যায় নানুয়ার দীঘির যেখানে পূজামন্ডপ তার পশ্চিমের রাস্তা ধরে হেটে আসছেন। তখন তার হাতে সেই গ্রন্থ না থাকলেও হাতে ছিল হনুমানের গদাটি। পূজামন্ডপের আগে-পরের দুটি ছবি বিশ্লেষণে দেখা যায় হনুমানের হাতে থাকা গদা নেই, কিন্তু তার সামনে পায়ের উপর পবিত্র কোরআন শরীফ। 
তবে এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।