ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

১০ বছর পর কামালকে ফিরে পেল পরিবার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৯  

মাথায় জটলা চুল, গায়ে মোটা দুইটি কাঁথা জড়ানো আর পরনে ছেড়া লুঙ্গি। মানসিক ভারসাম্যহীন একটি পাগলের সঙ্গে বেশ পরিচিত নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাসিন্দরা। নাম কি, কোথায় থাকে বা কোথা থেকে দুর্গাপুর এসেছে তার কোনো কিছুই জানে না কেউ। অনেকের কাছেই সে মামা নামে পরিচিত।
প্রায় সময় পৌর শহরের কালী বাড়ি মোড়, নাজিরপুর মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের থেকে ‘এ মামা দশ টাকা দিয়ে জান’ বলে টাকা নিতেও দেখা যায় তাকে। রাত হলেই উপজেলার সদর ইউপির ফারাংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেঝেতে থাকেন তিনি। ওই এলাকার মানুষরাও যেনো তার কাছের মানুষ হয়ে গেছেন। সকাল বা রাতে শহরের যে কেউই খাবার খেতে দেয় তাকে।

গত শনিবার (৮ জুন) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার জাহিদ হাসান নামে এক যুবক এই পাগলকে দেখে গ্রামে হারিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে মিল পান। এসময় ছবি তুলে ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়। পরে সোমবার দুর্গাপুর এসে হাতের কাটা আঙ্গুল দেখে পাগলের নাম কামাল মিয়া বলে শনাক্ত করে তার ভাই ডা. মো. মাহবুব আলম। 

পবিবার সূত্র বলছে, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাংগুড় নানদিয়া গ্রামের শামসুর ইসলাম ফকিরের ছেলে কামাল মিয়া। ২০০৯ সালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে যায়নি কামাল। চার ভাই, এক বোন আর মাকে নিয়ে তার পরিবার। পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান কামাল। ছোট থেকে পড়াশুনা অনেক ভালো থাকলেও বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবার এলোমেলো হয়ে যায়।

আর তখনই হঠাৎ পাড়ার খারাপ ছেলেদের সঙ্গে মাদক সেবন ও বিভিন্ন মাজার যেতে শুরু করে কামাল। একদিন দুইদিন করে বাড়তে শুরু করে তার বাহিরে থাকার প্রবনতা। সঙ্গে হারিয়ে ফেলে মানসিক ভারসাম্যতা। সেসময় একদিন বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি কামাল। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজি করেও তারা কোনা খবর পায়নি পরিবারের সদস্যরা। সবাই যেনো কামালের ফিরে আশা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিল। 

এর মাঝে গত শনিবার পরিবারের সদস্যরা আবারো জানতে পারে হারিয়ে যাওয়া কামাল এখনো বেঁচে আছে। পাগল হয়ে ঘুরছে দুর্গাপুরের অলিগলিতে। বিষয়টি জেনে আবারো আশায় বুক বাধতে শুরু করে ছেলে হারা মা রাবেয়া খাতুন।

বড় ভাইকে ফিরিয়ে নিতে দুর্গাপুর আসেন ছোট ভাই ডা. মো. মাহববু আলমসহ বন্ধুরা। সোমবার দুপুর থেকে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তেরি বাজার ঘাটে দেখা পায় তার। দেখেই ছোট ভাইকে চিনতে পারে কামাল। স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলার বাদল মিয়ার সহযোগিতায় পাগল ভাইকে দুর্গাপুর থানায় নেয় মাহবুব। সেখানে গিয়ে সব তথ্য দেয়ার পর কামালের পরিচয় নিশ্চিত করে পরিবারের সদস্যরা।

মাহবুর আলম জানান, প্রায় ১০ বছর আগে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায় আমার ভাই। আমরা বিভিন্ন স্থানে তার খোঁজ করেও কোনা খবর পাইনি তার। সবশেষে আমরা আমাদের ভাইকে খুঁজে পেয়ে অনেক খুশি। আবারো তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনার জন্য সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।

দুর্গাপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানায়, প্রায় ১০ আগে হারিয়ে যান কামাল। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সবশেষে দুর্গাপুরে এসে থেকে যান কামাল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখানেই ছিলেন তিনি। পরিবারের দেয়া তথ্যের ভিত্তি গাজীপুরের শ্রীপুর থানা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে কামাল তাদেই পরিবারের সদস্য। আর তাদের দেয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।