ব্রেকিং:
ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর
  • শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪  

লক্ষ্মীপুরের আদালত পাড়ায়, পুলিশ লাইন্স ও বিভিন্ন থানায় স্তুপ করে রাখা উদ্ধারকৃত কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। 

পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ প্রায় তিন হাজারের বেশি যানবাহন বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে এভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে।

বৃষ্টিতে ভিজে আর রোধে শুকায় এসব যানবাহন। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামতও। একই সঙ্গে সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে অনেক গাড়িই।   

লতাপাতা আর আবর্জনার স্তুপে বিভিন্ন যানবাহনের কোনোটির হেডলাইট, আবার কোনোটির ব্রেক-শো, কোনোটির বা ব্যাকলাইট দেখা যাচ্ছে। এর সবই বিভিন্ন অপরাধে উদ্ধারকৃত মামলার আলামত।

মামলা জটিলতা আর প্রশাসনিক কার্যক্রমের অবহেলায় নিলাম হচ্ছে না এসব যানবাহনের। আইনি জটিলতার কারণে নিলাম না হওয়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে, ফলে রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ ঘুরে দেখা যায়,  লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ অফিসের সামনে আদালত পাড়ায় ও পুলিশ লাইন্সের ভেতরে সরকারি মালখানায়, ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে উদ্ধারকৃত যানবাহন। সুজুকি, অ্যাপাসি, ইয়ামাহা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল ও মামলার আলামত। দুই চাকার মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে প্রাইভেটকার ও সিএনজিও আছে এখানে। 

এসবের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় খোলা আকাশের নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। রোদ-বৃষ্টি আর ধুলার আস্তরণে বোঝার উপায় নেই কোনটা সচল আর কোনটা অচল। সরকারি মালখালায় বছরের পর বছর অযত্নে পড়ে থাকায় কিছু গাড়ির কাঠামো বা চেসিস ছাড়া অবশিষ্ট নেই কিছুই। নিরাপত্তার অভাবে যানবাহনগুলোর বিভিন্ন পার্সও চুরি হয়ে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে ২টি মালখানায় উদ্ধারকৃত যানবাহন রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও ৫টি থানায় রাখা হচ্ছে উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল। বিভিন্ন অপরাধে উদ্ধারকৃত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় তিন হাজারেরও বেশি। এদের মধ্যে মামলার আলামত, চোরাইকৃত ও কাগজপত্র বিহীন মোট তিন স্তরের যানবাহন রয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে অনেক মালিকই ছাড়িয়ে নিতে পারেন না সে গাড়ি। তাই দিনের পর দিন এভাবে জমে উঠেছে গাড়ির স্তুপ। আবার আইনি জটিলতায় অকশনেও দেওয়া যাচ্ছে না।

লক্ষ্মীপুর জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান হাসিব বলেন, বিচারিক কার্যক্রম সমাপ্ত হতে বিলম্ব হওয়ায় গাড়িগুলো নিলামে তোলা যাচ্ছে না, অন্যদিকে মালিকদের কাছেও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। ফলে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে গাড়িগুলো। উদ্ধারকৃত গাড়িগুলোর মামলা নিস্পত্তি না হওয়ায় নিলামে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই দীর্ঘদিন রোদ-বৃষ্টির মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে রয়েছে গাড়িগুলো। এতে ক্ষতিগস্ত হচ্ছে গাড়ির মালিক ও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাষ্ট্র। 

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, এভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দ্রুত এসব মামলা নিষ্পত্তি করলেই আমাদের সম্পদ গুলো রক্ষা পাবে। সরকার কোটি টাকা রাজস্ব পাবে।

জেলা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, এসব উদ্ধারকৃত যানবাহন আইনি প্রক্রিয়ার পর ইনস্পেকশন চাওয়া হয়। ঐ ক্ষেত্রে উদ্ধারকৃত যানবাহন রেজিস্ট্রেশনের যোগ্য না হলে নিলামে বিক্রি করা হয়। কিন্তু এর আগেই আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই যানবাহন গুলো রেজিস্ট্রেশনের যোগ্যতাও হারিয়ে ফেলে।