ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চাচার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কলেজছাত্রী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২১  

জমি নিয়ে বিরোধ। এরই জেরে ভাতিজিকে এসিড নিক্ষেপ করেন চাচা। এছাড়া মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনও করেন। চাচার এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগীর পুরো পরিবার। নিজের বাড়িঘর থাকতেও ছয় মাস ধরে ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে তাদের।

ভুক্তভোগীর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের কালিকাপুর হেতিমপুর গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অভিযুক্তের নাম মমিন উল্যা। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা।

চাচার নির্যাতন সইতে না পেরে পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যান ভুক্তভোগীর মা। কিন্তু কোনো অভিযোগ না নিয়ে লক্ষ্মীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন।

স্থানীয়রা জানায়, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হেতিমপুর গ্রামের মমিন উল্যার সঙ্গে তারই আপন ভাইয়ের বিরোধ চলছিল। তবে ১৮ বছর ধরে তার ভাই বিদেশে রয়েছেন। আর এ সুযোগে ভাতিজি কলেজছাত্রীকে মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করেন মমিন। এমনকি মুখে এসিডও ছুড়ে মারেন। এছাড়া গুম করারও হুমকি দিচ্ছেন। তাই তার ভয়ে ছয় মাস ধরে রামগঞ্জ শহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মা বলেন, আমার স্বামী ১৮ বছর ধরে বিদেশে রয়েছেন। কলেজ পড়ুয়া দুটি মেয়ে ও ছোট্ট একটি ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ভালোভাবেই দিন কাটাচ্ছিলাম। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি রাতে ১০-১৫ জন মুখোশধারী নিয়ে আমাদের ঘরে ঢোকেন মমিন। এরপর তারা প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণ, তিন লাখ টাকা ও আলমারি ভেঙে জমির দলিলপত্র নিয়ে যান। পরে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে কোনো অভিযোগ না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন ইনচার্জ আলমগীর।

এরপর থেকেই আমাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন মমিন। আমার ছেলে-মেয়ে বাড়িতে ঢুকতে গেলেই মমিন অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনে হুমকি দেওয়ায় আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মমিন উল্যা বলেন, বাবা জীবিত থাকতে কৌশলে ৭৫ ভাগ সম্পত্তি নিজের নামে করে নেন আমার প্রবাসী ভাই। তাই সম্পত্তি নিয়ে দুজনের মধ্যে কিছুটা বিরোধ রয়েছে। তবে বাকি অভিযোগ সঠিক নয়।

মোহাম্মদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। এসব অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেননি।