ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আবাসন প্রকল্পে আশ্রয় পেলেন ৩০ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২১  

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ‘প্রিয় নীড় আশ্রায়ন প্রকল্পে’ আশ্রয় পেয়েছেন ৩০ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। সমাজে অবহেলিত এসব মানুষ এখন নিজেদের ঘরে শান্তিতে থাকার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছেন সবজি চাষ আর গো-খামার করে।

উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, তৃতীয় লিঙ্গের আশ্রায়নের জন্য এটিই প্রথম প্রকল্প। ক্রমান্বয়ে অন্যান্যদেরও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। আর নিজেদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল পেয়ে অনেক খুশি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা।

এখানে বসবাস করা মানুষেরা জানান, ছোটবেলা থেকেই সব ক্ষেত্রেই শুধু অবহেলায়ই মিলেছে। স্কুলে শিক্ষক পড়াতে চাননি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বলে। পড়শীরা হাসাহাসি করেছে তাদের চলাচল দেখে। এক সময় বাধ্য হয়েই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এসব তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।

সবশেষ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমের ৩০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলার স্বরস্বতী নদীর পাড়ে। প্রকল্পের মাধ্যমে টিনশেড বিল্ডিং আলাদা ওয়াশরুম আর নিজেদের আলোচনা আর অনুষ্ঠান করার জন্য তৈরি হয়েছে কমিউনিটি সেন্টার। এসব স্থাপনা নিজেদের জন্য পেয়ে খুশী তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। এখন নিজেদেরকে তৈরি করতে চান স্বাবলম্বী মানুষ হিসেবে।

প্রকল্পে বসবাসকারীরা নিজেদের স্বাবলম্বী করতে এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। আর তা দেখে নতুন আরো কিছু পরিকল্পনা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব করবেন বলে জানালেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

সরকারের উদ্যোগকে স্থায়ী রূপ দিতে জেলায় আরো যত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ আছে তাদেরও এমন প্রকল্পের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ডিসি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগের প্রশংসাও করেন তিনি।

অনেক অভাব থাকলেও নিরাপদ আশ্রয় মেলায় এখন অনেকটাই স্বস্তিতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। নিজেদেরকে অনন্য উচ্চতায় নিতে নিজেরাই এখন তৈরি করছেন নিজেদের।