ব্রেকিং:
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় করেন অস্ত্রোপচার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০  

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নুরজাহান অর্থোপেডিক্স হাসপাতালে রোগীর অস্ত্রোপচার করতেন হাসপাতালটির ওয়ার্ডবয় জাহাঙ্গীর হোসেন। র‌্যাবের অভিযানে এ হাসপাতালের ফ্লোরে রক্ত মাখা কাপড় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এসব অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও হাসপাতালটির পরিচালক বাবুর হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাব। একইসঙ্গে অভিযান শেষে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

বুধবার রাতভর মোহাম্মদপুর ও শ্যামলী এলাকায় তিনটি হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। এতে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানে সহায়তা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এদিকে ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক হাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন এইচএসসি পাস। অথচ তিনি একাধারে হাসপাতালটির পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। রোগীদের ভাঙা হাত-পায়ের এক্স-রে দেখে অপারেশনের সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিতেন। এ হাসপাতালটির অনুমোদনের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে আরো চার মাস আগে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও হাসপাতালটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

অভিযানের শুরুতেই রাজধানীর মক্কা-মদিনা হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। হাসপাতালটির পরিচালক নূর নবীরও কোনো ধরনের চিকিৎসা সনদ না থাকার পরও তিনি রোগী দেখছেন এবং ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। হাত-পা ভাঙাসহ বিভিন্ন গুরুতর আহত যে রোগীরা আসছেন, তাদের অপারেশনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শও দিচ্ছিলেন।

এ অপরাধে হাসপাতালটির পরিচালক নূর নবীকে এক বছরের কারাদণ্ডসহ আনোয়ার হোসেন কালু ও তার সহযোগী আব্দুর রশিদকে ছয়মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে মক্কা-মদিনা হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।

অভিযান শেষে পলাশ কুমার বসু বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে আসে। কয়েকটি দালাল চক্র শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর থানার বাবর রোডের এসব হাসপাতালে কম খরচে উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দেখিয়ে রোগীদের ভাগিয়ে আনতেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সম্পর্কে রোগীদের নানা ভুল তথ্য দেয়া।