ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মামা-ভাগ্নির অদ্ভুত প্রেম, সেই সম্পর্ক এখন থানায়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২০  

অদ্ভুত প্রেম। তাও মামার সঙ্গে ভাগ্নির। শুনেই অনেকের চক্ষু চড়কগাছ। তবে প্রেমিক মামা সম্পর্কের আসল মামা নন, প্রতিবেশী মামা। প্রথমে প্রেম ও পরে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ। মামা-ভাগ্নির অদ্ভূত এ প্রেমের সম্পর্ক শেষে থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। তাও ধর্ষণ মামলা হিসেবে।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউপির মনিরামপুরে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উপজেলার দাউদপুর ইউপির মনিরামপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে ফিরোজ কবির ওই কলেজছাত্রীর প্রতিবেশী এবং সম্পর্কে মামা। ফিরোজ কবির প্রায় ভালোবাসার প্রস্তাব দিতো। একপর্যায়ে ভালোবাসায় রাজি হয় ওই কলেজছাত্রী। প্রেম ভালোবাসা চলার সময় একপর্যায়ে ছাত্রীটি ফিরোজ কবিরের বাড়িতে টিভি দেখতে যেত। সেই সুযোগে ফিরোজ  ওই কলেজছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

সবশেষে ১০ জুলাই বেলা ১১টার দিকে ফিরোজ কবিরের বাড়িতে টিভি দেখতে গেলে কলেজছাত্রীকে আবার ধর্ষণ করে। পরে ফিরোজ কবিরকে বিয়ের কথা বলে মেয়েটি। কিন্তু ফিরোজ কবির তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এমনকি তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখায়। তখন ছাত্রীটি তার পরিবারের কাছে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রকাশ করে। পরে ওই  ছাত্রীর বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় ফিরোজ কবিরকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ করে একটি মামলা করে।

অভিযুক্ত ফিরোজ কবিরের পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, অভিযোগকারী ছাত্রীর সঙ্গে তাদের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে সুসম্পর্ক ছিল। তারা প্রায় টাকা ধার নিত এবং সময় মতো ফেরত দিতো। তবে কিছু দিন আগে তাদের জমি বিক্রি করার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা নেয়। পরে তা অস্বীকার করার কারণে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। টাকার বিষয় নিয়ে গ্রামে সালিশের ব্যবস্থা করা হলে কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজন তর্কবিতর্ক করে চলে যায়। পরে তারা আমাদেরকে সুদের ব্যবসায়ী বলে পাঁচজনের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। এমনকি আমাদের ছেলে ফিরোজ কবিরকে ফাঁসানোর জন্য মেয়েটি ধর্ষণ মামলা দিয়েছে।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি অশোক কুমার চৌহান জানান, ধর্ষণের মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সালামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন আছে এবং আসামি গ্রেফতারের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।

নবাবগঞ্জ থানার এসআই আব্দুস সালাম বলেন, ধর্ষণের মামলাটির তদন্তের দায়িত্বভার আমাকে দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে তবে এখনো রিপোর্ট আমি পাইনি। আসামি ঢাকায় পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।