ব্রেকিং:
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ছাত্রাবাসে গণধর্ষণে এবার রাজন গ্রেফতার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজন আহমদ নামে আরেক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জের কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৯ এর একটি দল। এ সময় রাজনকে পালাতে সহযোগিতা করায় আইনুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়।

র‌্যাব-৯ সিলেটের একটি সূত্র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গ্রেফতার রাজন ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণ মামলার অজ্ঞাত আসামি ছিলেন। ছায়া তদন্তে নেমে র‍্যাব এ তথ্য নিশ্চিত হয়ে রাজনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো। এর মধ্যে চারজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আর অপরজন মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি।

র‌্যাব ও ডিবি সূত্রে জানায়, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলার রাজন নামের আরেক আসামি ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছেন, এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। পরে রাত ১টার দিকে রাজন ও তার সহযোগী আইনুলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে সিলেট নিয়ে আসা হয়েছে।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় এ মামলার আরেক আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৯ এর একটি দল। একই সময়ে মামলার অন্যতম আসামি রবিউল হাসানকে নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া রোববার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক খেয়াঘাট এলাকা থেকে গণধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয় হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা থেকে।

গত শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের ৬-৭ জন নেতাকর্মী। এরপর দুইজনকে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে স্বামীকে আটকে রেখে তার সামনে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে রাতে ছাত্রাবাস থেকে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলা ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক, হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম।