ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পুষ্টিকর বিস্কুট পাচ্ছে ২৬ লক্ষ শিশু

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২০  

প্রাথমিকের প্রায় ২৬ লাখ শিক্ষার্থীর বাড়িতে যাচ্ছে সরকারের দেওয়া উচ্চমাত্রার পুষ্টিকর বিস্কুট। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকায় ছয় হাজার টনের বেশি বিস্কুট তালাবদ্ধ স্কুলঘরে পড়ে ছিল। এতে বিস্কুটগুলো নষ্ট ও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে প্রকল্প এলাকার শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিস্কুট পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২৬ এপ্রিল 'গরিবের বিস্কুট ইঁদুরের পেটে' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক সমকাল। সমকালে খবর প্রকাশের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎপরতায় এ বিষয়ে প্রকল্প এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। নড়েচড়ে বসে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিও। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের পুষ্টির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত মজুদকৃত বিস্কুট বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব বিস্কুট পৌঁছে দেওয়ার তথ্য আসছে সমকালের কাছে।

দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের পরিচালক রুহুল আমীন খান (অতিরিক্ত সচিব) সমকালকে বলেন, টানা দুই মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে শিক্ষার্থীরা পুষ্টি থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘসময় পুষ্টিকর খাবারের বিরতিতে ওরা দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় ছিল। এ ছাড়া স্কুলঘরে বদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকলে বিপুল পরিমাণ বিস্কুট নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ জন্য প্রকল্পের আওতায় ১০৪টি উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিস্কুটগুলো বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ বিস্কুট বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৫ মের মধ্যে বিতরণ শেষ করতে বলা হয়েছিল। কিছু দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন রকম প্রতিকূলতার কারণে শেষ হয়নি। আশা করা হচ্ছে, ২০ থেকে ২২ মের মধ্যে শতভাগ বিতরণ শেষ হবে। এ দফায় প্রায় হাজার টন বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৫০ প্যাকেট করে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে মজুদ কম থাকায় গড় হিসাব করে বিতরণ করতে বলা হয়েছেতা ২৫ থেকে ৫০ প্যাকেটের মধ্যেই থাকছে। নির্দেশনা পাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের হাতে পুষ্টিকর বিস্কুট বিতরণ করার খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ এলাকায় নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে উল্টোভাবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়ার বদলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, ঝুঁকি সত্ত্বেও কয়েকশ' শিক্ষার্থীকে স্কুলে জড়ো করা হচ্ছে। এতে তারা পুষ্টিকর বিস্কুট পেলেও করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
 এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে রাজধানীর জুরাইন আদর্শ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলঘরে শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর বিস্কুট ইঁদুরে খেতে শুরু করেছিল। সব বিস্কুট নষ্ট হওয়ার আগে সরকারের নির্দেশনা আসায় গত সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে খুলনা, বাগেরহাট, রাজবাড়ী, কুড়িগ্রাম, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পুষ্টিকর বিস্কুট পৌঁছে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মন্তোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সামিউল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বিস্কুটগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সরকারের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তাদের কিছু করার ছিল না।

শেষ পর্যন্ত নির্দেশনা পেয়ে সব শিক্ষার্থীর বাড়িতে মজুদকৃত বিস্কুটগুলো পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। একই উপজেলার চর পাত্রখাতা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও প্রায় সাড়ে তিনশ' শিক্ষার্থীর হাতে হাতে পুষ্টিকর বিস্কুট তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ১১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় ১২ হাজার ১০২ শিক্ষার্থীকে ৫০ প্যাকেট করে পুষ্টিকর বিস্কুট বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মোরেলগঞ্জের ৩০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চারটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় ৩২ হাজার ৫৯৫ শিক্ষার্থীর বাড়িতে বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে এ কর্মসূচির আওতায় ১২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৮ হাজার ৩৩৯ শিক্ষার্থীর বাড়িতে বিস্কুট বিতরণ শুরু হয়েছে গত ৯ মে