ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেজুর রস বিক্রিতে স্বাবলম্বী সোনাগাজীর গাছিরা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২০  

চলছে শীত মৌসুম। প্রচন্ড শীতে এক সময় দিগন্ত জুড়ে, মাঠ কিংবা সড়কের দুই পাশে সারি সারি খেজুরগাছ চোখে পড়তো। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই গাছ। তারপরও যে গাছ অবশিষ্ট আছে তাতে শীত মৌসুমে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুরগাছের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফেনীর সোনাগাজীর চরাঞ্চলের গাছিরা। খেজুর রসের ব্যাপক চাহিদা থাকায়, অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা এসেছে মৌসুমী গাছিদের।
শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে এই সুস্বাদু রস পানের মজাই আলাদা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে রস সংগ্রহে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন গাছিরা। ফলে সারা বছর অযতœ, অবহেলায় পড়ে থাকলেও সোনাগাজীর বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে খেজুরগাছের এখন কদর বেড়েছে। তবে, গাছ সংকটের কারণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যাচ্ছে না বলে গাছিরা জানান।


দক্ষিণ চর ছান্দিয়া গ্রামের আবুল বশরের ছেলে মৌসুমী গাছি মো: রিপন মিয়া জানান, দিন দিন খেজুরগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতি বছর শীত মৌসুমে খেজুরগাছের রস, গুড়, পাটালির চাহিদা ঠিকই থাকে। তবে গাছ হ্রাস পাওয়ায় দাম বেড়েছে। সীমিত সংখ্যক গাছ যে রস সংগ্রহ হয়, তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সে জানান, তাঁর আওতায় ৬০টি গাছ রয়েছে, দৈনিক এসব গাছ থেকে ৭০ থেকে ৮০ লিটার রস সংগ্রহ হয়। এ রস সে সোনাগাজী উপজেলা ছাড়াও ফেনী জেলা শহরে বিক্রি করে প্রতি ৪০ টাকায়। প্রতিদিন গড়ে তাঁর আয় হয় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। তাঁর কাছে আগাম এক সপ্তাহের অর্ডার দিতে হয়। কেউ রস চাইলেই পাবে না আগে মোবাইলে অর্ডার করতে হবে। এতে রিপনের মুখে হাসি ফুটেছে। শীত শেষ হয়ে গেলে তিনি তাঁর অন্যে কর্মে ফিরে যান।

অপরদিকে সোনাগাজীর দক্ষিণ পূর্ব চর-ছান্দিয়া গ্রামের মো: রুহুল আমিনের ছেলে গাছি মো: একরামুল হক জানান, তিনি প্রতিদিন ৩৮টি গাছে কলসির বদলে প্লাস্টিকের বোতলে রস আহরণ করেন। প্রতি লিটার রস ৪৫ টাকা। তিনি এ রস ফেরি করে ফেনীর মহিপালে বিক্রি করেন। প্রতিদিন তাঁর আয় ১৫ শত টাকা। মোবাইলে রসের অর্ডার নেন। তিনি পেশায় দিন মজুর। শীত মৌসুম এলে গাছি সেজে যান অন্য মৌসুমে কৃষি কাজ করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার বলেন, আমরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে খেজুরগাছ লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। খেজুরগাছ ফসলের কোনো তি করে না। এই গাছের জন্য বাড়তি কোনো খরচও করতে হয় না। খেজুর রসের ব্যাপক চাহিদা থাকায়, অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা এসেছে মৌসুমী গাছিদের।