ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আদালতেই আসামিকে আরেক আসামির হত্যার পুরো বর্ণনা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০১৯  

কুমিল্লায় আদালতের এজলাসে বিচারকের সামনেই ছুরিকাঘাতে এক আসামি আরেক আসামিকে হত্যা করেছে। খবরটি কালকের হলেও এ হত্যাকাণ্ড মানুষের মুখে মুখে রয়েছে এখনো। অনেকেরই প্রশ্ন, আইনী কার্যালয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটলো কীভাবে?

কুমিল্লার অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নুরুল ইসলাম এ ঘটনার বর্ণনা দিলেন। বললেন- অন্যান্য দিনের মতোই কাজ শুরু হয়েছিল কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। শুনানির তারিখ অনুযায়ী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (তৃতীয়) আদালতে ছয় বছর আগের একটি হত্যা মামলার তিন আসামিকে হাজির করা হয়। সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিচারক এজলাসে আসেন। চেয়ারে বসে মামলার কাগজপত্র হাতে নেন। ঠিক ওই সময় মামলার চার নম্বর আসামি ফারুককে ছুরিকাঘাত করে আট নম্বর আসামি হাসান। জীবন বাঁচাতে ফারুক এজলাসে উঠে পড়েন, বিচারকসহ আইনজীবীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। দৌড়াতে থাকে ফারুকও। বিচারকের খাস কামরার দিকে ছুটে যান তিনি। পেছন পেছনে দৌড়ে আসে হাসানও। এসে ফারুককে বিচারকের টেবিলের ওপর ফেলেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করে হাসান। আদালতে অন্য একটি মামলার হাজিরা দিতে আসা কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ এগিয়ে গিয়ে হাসানকে আটক করেন।

এই ঘটনার পর বিচারক, আইনজীবী, আদালতপাড়াসহ পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানান এপিপি। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।    

হত্যাকারী হাসান ও নিহত ফারুক একই মামলার আসামি ও  সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। নিহত ফারুক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের অহিদ উল্লাহর ছেলে। ঘাতক হাসান কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।

এপিপি নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে হাজী আবদুল করিম হত্যার ঘটনা ঘটে। সোমবার ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল। এ মামলার ফারুক ও হাসানসহ তিন আসামি আদালতে হাজির হয়। বাকি পাঁচ আসামি পলাতক। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী না থাকায় সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তবে, বিচারক কাজ শুরুর আগেই চোখের পলকে হত্যাকাণ্ড ঘটে যায়। 

কী কারণে হত্যা?

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ নেওয়াজ সুলতানা বলেন, সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে ২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে হাজী আবদুল করিমকে হত্যা করা হয়। আবদুল করিম আসামি হাসানের নানা। নিহত ফারুকের দাদা। হত্যাকাণ্ডের পরই একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার চার নম্বর আসামি ছিল ফারুক। ২০১৫ সালে মামলার চার্জশিট হওয়ার সময় ফারুকের দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হাসানের নাম ওঠে আসে। পরবর্তী সময়ে ওই মামলায় হাসানকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়।

এই আইনজীবী আরো বলেন, ফারুকের উদ্দেশে হাসান বলে, তোর কারণে আসামি হয়েছি। এ কথা বলার পরই ফারুককে ছুরিকাঘাত করে হাসান। এতে বোঝা যায়, ফারুক কেন জবানবন্দিতে হাসানের নাম বলেছে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু প্রতি হাজিরায় দেখতাম তারা একসঙ্গে এসে হাজিরা দিয়ে আবার চলে যায়। কখনো এমন বিরোধের কথা শুনিনি। তাদের মধ্যে অন্য কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে কিনা, আমি বলতে পারবো না।

পুলিশের কমিটি

এই হত্যাকাণ্ড খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. সাখাওয়াত হোসেনকে। অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন এবং ডিআইও-১ মাহবুব মোর্শেদ।