ব্রেকিং:
শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে
  • বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯  

ফিফায় আয়োজক হওয়ার জন্য ঘুষ কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা নিয়ে কাতারকে কম দোটানার মধ্যে পড়তে হয়নি! কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপ হবে কি-না তার অনিশ্চয়তা নিয়ে ছিল হাজারো জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২২ সালে কাতারেই হতে যাচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপের আসর।

রাশিয়া এবং ব্রাজিল বিশ্বকাপের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি খরচ করছে দেশটি। সমুদ্র উপকূলে মাইলের পর মাইল বিছিয়ে থাকা শামুকের আদলে আল খোর স্টেডিয়াম, যেটির অবস্থান কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে। যেখানে ৪৩ হাজারের বেশী দর্শক একসাথে বসে খেলা দেখতে পারবে। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নির্মিত কিংবা ইতোমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে এটি একটি। এমনি আরো তিনটি স্টেডিয়ামের কাজ প্রায় শেষ দিকে। প্রায় ৮৬০০০ দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় লুসাইল স্টেডিয়ামের কাজও শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।

কাতার তৈরী করছে সর্বমোট ১২ টি স্টেডিয়াম। প্রত্যেকটিই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে বানানো হচ্ছে। কোনটি সামুদ্রিক নৌকা, কোনটি ঝিনুক আবার মরুদ্যানের নকশার আদলে তৈরিকৃত। শুধু বাহিরের আভিজাত্যই নয় বাহিরের আভিজাত্যের সাথে মিলিয়ে এর ভেতরের দিক সাজানো হচ্ছে আরো জাঁকজমকের সাথে। অভিনবত্ব এসেছে অন্যান্য দেশগুলোর স্টেডিয়ামগুলোর তুলনায়

কাতারের স্টেড়িয়ামগুলোতে ব্যবহৃত হবে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি

কাতারের স্টেড়িয়ামগুলোতে ব্যবহৃত হবে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি

কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো এখানকার মস্তিষ্ক ঘামানো তাপমাত্রা। আর যখন বিশ্বকাপ চলবে সেই মাসে সাধারণত কাতারে ৪১-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকে। কিন্তু দেশটির জন্য আশার কথা হলো তারা তাদের মোট বরাদ্দের একটি বিশাল অংশ ব্যয় করছে স্টেডিয়ামগুলোতে কুলিং টেকনোলজির মতো আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন করে। যে প্রযুক্তি খেলোয়াড় আর দর্শকদের জন্য আরামদায়ক আবহাওয়া নিশ্চিত করতে ব্যবহার করবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এবং এজন্য ব্যবহার করা হবে সৌরশক্তির মতো আধুনিক চিন্তার বাস্তবায়ন।

বিশ্বকাপ আয়োজনের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞটি চলে যেখানে খেলা হবে সেই ময়দানের প্রস্তুতি নিয়ে। এরই মধ্যে প্রায় চারটি ষ্টেডিয়ামের অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শেষ করেছে দেশটি এবং বাকিগুলোর কাজও চলছে বেশ ভালোভাবে। শুধু এই বাবদেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি এক হাজার কোটি ডলার বা ৮০ হাজার কোটি টাকার উপরে খরচ করবে। এমনকি এর মধ্যেই স্টেডিয়াম তৈরির কারণে স্টেডিয়ামের আশেপাশে গড়ে উঠছে নতুন শহর নির্মাণ করা হচ্ছে শপিং মল, বিনোদন কেন্দ্র, পার্কিং, সড়ক ও আকাশ পথে যাতায়াত ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে খরচের অংকটা কপালে চোখ উঠে যাওয়ার মতো। ২০ হাজার কোটি ডলার বা ১৬ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতার ২০২২ সালের বিশ্বকাপের জন্য। যেখানে ১৪শ কোটি ডলার খরচেই সফল হয়েছিল ২০১৮ এর আয়োজক রাশিয়া এবং ২০১৪ এর আয়োজক ব্রাজিল।

সমগ্র এই আয়োজনের দায়িত্বে আছে দেশটির সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসি। বিশাল এই যজ্ঞকে সফল করতে এরই মধ্যে তারা প্রচার কার্যক্রম শুরু করেছে রাশিয়া থেকেই। তবে আগামী চার বছরে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জও তাদের মোকাবেলা করতে হবে। মুসলিম সংস্কৃতির দেশটি বিশ্বকাপের দর্শকদের আতিথেয়তায় কতটা উদার হতে পারবে সেটা নিয়ে এখন চলছে নানা গুঞ্জন। বিশেষ করে বৈচিত্র্যময় পশ্চিমা খাবারের যোগানে তারা কতটা উদারতা দেখাবে, মধ্যপ্রাচ্যের গরম আবহাওয়া বিশ্বের নানা দেশের মানুষের কতটা উপযুক্ত হবে এমন সব প্রশ্ন যেমন রয়েছে, তেমনি বিশ্বকাপ আয়োজনের টিকিট প্রাপ্তি আর নির্মাণে জড়িত শ্রমিকদের অধিকার নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। তবে সবকিছু ছাপিয়ে রাশিয়ার মতোই সফল এক বিশ্বকাপ দেয়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলেছে কাতার সরকার। সেটা যত টাকা খরচ করেই হোক না কেন!

উল্লেখ করা ভালো কাতার বর্তমানে ফিফা র‍্যাংকিং এ ৮৩ তম অবস্থানে রয়েছে৷ আর দেখা যাক তাদের টাকা খরচের মহড়া অর্থাৎ স্টেডিয়াম আধুনিকিকরণের ফলাফল তাদের মাঠের নৈপূণ্যে কতটা সুপ্রভাব বয়ে নিয়ে আসে।