ব্রেকিং:
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ঋণদাতা ও গ্রহিতার ওপর জাকাত

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ মে ২০১৯  

প্রত্যেক মুসলমানকে যেমন জাকাত ফরজ হওয়ার বিষয় সম্পর্কে বিশ্বাস করতে হবে, ঠিক তেমনিভাবে যার ওপর জাকাত ফরজ তাকে তা নিয়মিত পরিশোধও করতে হবে।

ঋণগ্রহিতার ওপর জাকাত:
(ক) আদায়যোগ্য ঋণ আদায় হওয়ার পর অন্যান্য জাকাতযোগ্য সম্পদের সঙ্গে যোগ করে জাকাত প্রদান করতে হবে।

১. যে ঋণ নগদে বা কোনো দ্রব্যের বিনিময়ে কারো কাছে পাওনা হয়, এরুপ ঋণ আদায় হওয়ার পর জাকাত দিতে হবে, এবং বিগত বৎসরসমূহেরও জাকাত প্রদান করতে হবে।


 ২. যে পাওনা কোনো দ্রব্য বা নগদ ঋণের বিপরীতে নয়, যেমন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অস্থাবর সম্পদ, দান, অছিয়ত, মোহরাণার অর্থ ইত্যাদি বাবদ প্রাপ্ত হয়। এরুপ ক্ষেত্রে আদায়ের পর জাকাত ধার্য হবে। এগুলোর ওপর বিগত বৎসরসমূহের জাকাত প্রদান করতে হবে না।

(খ) আদায় অযোগ্য বা আদায় হবার ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে সে ঋণ জাকাতের হিসাবে আসবে না। যদি কখনো উক্ত ঋণের টাকা আদায় হয়, তবে কেবল মাত্র ১ (এক) বছরের জন্য উহার জাকাত দিতে হবে।

ঋণগ্রহিতার ওপর জাকাত:
(ক) ঋণগ্রহিতার ঋণের টাকা মোট জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে বাদ যাবে। কিন্তু যদি ঋণগ্রহিতার মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্থায়ী সম্পত্তি (যেমন-অতিরিক্ত বাড়ী, দালান, এপার্টমেন্ট, জমি, মেশিনারী, যানবাহন, গাড়ী ও আসবাবপত্র ইত্যাদি) থাকে যাহা দ্বারা এরুপ ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম, তবে উক্ত ঋণ জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে বাদ যাবে না।


 
(খ) স্থাবর সম্পদের ওপর কিস্তিভিত্তিক ঋণ (যেমন-হাউজিং লোন ইত্যাদি) জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে বাদ যাবে না। তবে বার্ষিক কিস্তির টাকা অপরিশোধিত থাকলে তা জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে বাদ যাবে।

(গ) ব্যবসায়ে বিনিয়োগের জন্য ঋণ নেয়া হলে উক্ত ঋণের টাকা জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে বাদ যাবে। কিন্তু যদি ঋণগ্রহিতার মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্থায়ী সম্পত্তি থাকে তবে উক্ত ঋণ জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে বাদ যাবে না।

(ঘ) শিল্প-বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঋণের টাকা জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে বাদ যাবে। তবে যদি ঋণগ্রহিতার মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্থায়ী সম্পত্তি থেকে উক্ত ঋণ পরিশোধ করা যায় তবে তা জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে বাদ যাবে না।

(ঙ) যদি অতিরিক্ত স্থায়ী সম্পত্তির মূল্য ঋণের পরিমাণের চেয়ে কম হয়, তবে ঋণের পরিমাণ থেকে তা বাদ দিয়ে বাকী ঋণের টাকা জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে বাদ যাবে। বিলম্বে প্রদেয় বা পুণ:তপসিলিকৃত ঋণের বেলায় শুধুমাত্র ঋণের বার্ষিক অপরিশোধিত কিস্তি জাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে বাদ যাবে।