ঈদুল ফিতর সিয়াম সাধনার সাফল্য
নোয়াখালী সমাচার
প্রকাশিত: ১১ মে ২০২১
একটি মাস সিয়াম সাধনার পর সাফল্য হিসেবে আসে ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের প্রধান দুই ঈদ উৎসবের মধ্যে এই ঈদুল ফিতর অন্যতম। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, ছোট-বড় সবাইকে প্রীতির পুণ্যময় বন্ধনে আবদ্ধ করতে এ দিনের ভূমিকা অপরিসীম। এ জন্য ঈদের দিনকে মুসলিম বিশ্বের জাতীয় উৎসব হিসেবে গণ্য করা হয়।
মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জাতির জন্য আনন্দ-উৎসবের দিন রয়েছে। আমাদের আনন্দ-উৎসবের দিন হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা (বুখারি, মুসলিম)।
ঈদ অর্থ আনন্দ বা উৎসব আর ফিতর অর্থ ভঙ্গ করা। রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শেষে রোজা ভঙ্গ করার যে উৎসব পালন করা হয়, তাকে ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ বলা হয়। ঈদুল ফিতর হলো মুসলমানের আনন্দ উৎসব। প্রত্যেক মুসলমানের জীবনে এই উৎসবটির গুরুত্ব অনেক বেশি। মুসলিম পরিবারের এই মহান উৎসবকে যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে পালন-উৎযাপন করাই একজন রোজাদেরর প্রকৃত দায়িত্ব। আর এই সুষ্ঠ পালন প্রক্রিয়াতেই রোজাদেরর প্রকৃত তৃপ্তি নিহিত।
রোজাদারদের জন্য সাফল্যগাঁথার প্রতিবেদন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। রোজাদার যে আত্মশুদ্ধি, সংযম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, উদারতা, বদান্যতা, মহানুভবতা ও মানবতার গুণাবলি দ্বারা উদ্ভাসিত হন, এর গতিধারার প্রবাহ অক্ষুণ্ণ রাখার শপথ গ্রহণের দিন হিসেবে ঈদুল ফিতর সমাগত হয়। এদিন যে আনন্দধারা প্রবাহিত হয়, তা অফুরন্ত পুণ্য দ্বারা পরিপূর্ণ। বছরজুড়ে নানা প্রতিকূলতা, দুঃখ-বেদনা সব ভুলে ঈদের দিন মানুষ সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলিত হন। ঈদগাহে কোলাকুলি সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধনে সবাইকে নতুন করে আবদ্ধ করে। ঈদ এমন এক নির্মল আনন্দের আয়োজন, যেখানে মানুষ আত্মশুদ্ধির আনন্দে পরস্পরের মেলবন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হন এবং আনন্দ সমভাগাভাগি করেন। আর এ আনন্দ ও পুণ্যের অনুভূতি জগতে এমন এক দুর্লভ জিনিস, যা ভাগাভাগি করলে ক্রমেই তা বৃদ্ধি পায়। ঈদুল ফিতর আনন্দ-উৎসব এমন এক পরিচ্ছন্ন আনন্দ অনুভূতি জাগ্রত করে, যা মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের পথপরিক্রমায় চলতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্বুদ্ধ করে।
মানুষের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন রচনায় ঈদুল ফিতর গুরুত্ববহ। এটি মানুষকে দাঁড় করিয়ে দেয় কল্যাণমূলক অর্থনৈতিক পরিবেশের দোরগোড়ায়। এজন্য রাসূল (সা.) সাদকাতুল ফিতরকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা জব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপর এটা ওয়াজিব।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৫১২)।
আর ফিতরার নিসাব হচ্ছে জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত হয়ে ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতরা ওয়াজিব হবে। যার ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়। (ফাতহুল ক্বাদির : ২/২৮১)।
এক মাস সিয়াম সাধনার পুরস্কার লাভ হয় ঈদুল ফিতরের দিনে। এদিন কেউ হয় সফল আর কেউ হয় ক্ষতিগ্রস্ত। রোজাদাররা এদিন সাফল্যতা অর্জন করে। কেমন সাফল্য? নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতারা রাস্তার মুখে মুখে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন: হে মুসলিম! নেককাজের ক্ষমতাদাতা ও সওয়াবের আধিক্যদাতা আল্লাহর কাছে অতি শিগগির চলো। তোমাদের রাতে ইবাদত করার হুকুম করা হয়েছিল, তোমরা তা করেছ, দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তোমরা তা পালন করেছ। তোমরা তোমাদের সৃষ্টিকর্তাকে খাইয়েছ (অর্থাৎ গরিব-দুঃখীদের আহার দিয়েছ) আজ তার পুরস্কার গ্রহণ করো। অতঃপর মুসলমানরা যখন ঈদের নামাজ পড়ে, তখন একজন ফেরেশতা উচ্চ স্বরে ঘোষণা করেন, তোমাদেরকে তোমাদের সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। এখন তোমরা তোমাদের পুণ্যময় দেহ-মন নিয়ে নিজ নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তন কর। এ দিনটি পুরস্কারের দিন, আকাশে এই দিবসের নাম ‘উপহার দিবস’ নামে নামকরণ করা হয়েছে।’ (তাবারানি)।
হজরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতারা জমিনে নেমে আসেন এবং উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে এমনভাবে আওয়াজ দিতে থাকেন যে, মানুষ ও জিন ছাড়া আল্লাহর সব সৃষ্টি তা শুনতে পায়। ফেরেশতারা বলেন, হে উম্মতে মুহাম্মাদ! তোমরা তোমাদের দয়াময় রবের উদ্দেশে বের হও, তিনি আজ অতি বিরাট দান করবেন এবং বড় গোনাহ মাফ করবেন। মুসলমানরা ঈদগাহে হাজির হলে আল্লাহ ফেরেশতাদের লক্ষ্য করে বলেন, হে ফেরেশতারা! কাজ থেকে শ্রমিকের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে তোমাদের রায় কি? জবাবে ফেরেশতারা বলেন, হে আমাদের মাবুদ! শ্রমিকদের তার পারিশ্রমিক দিয়ে দিন। তখন আল্লাহ বলেন, আমি তোমাদের সাক্ষী করে বলছি, আমি তাদের নামাজ ও রোজার সওয়াবকে আমার সন্তুষ্টি ও ক্ষমায় পরিণত করলাম। হে মোমিনরা! তোমরা নিষ্পাপ অবস্থায় ফিরে যাও।’
আসমানে ঈদকে পুরস্কার দিবস বলা হয়। আসমান ও জমিনের মাঝখানে ওই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বড় পুরস্কারের জন্য বড় গণজমায়েত দরকার। তাই ঈদ হচ্ছে বৃহত্তম গণজমায়েতের ব্যবস্থা। এ সমাবেশ হাশরের ময়দানের বিশাল সমাবেশকে স্মরণ করিয়ে দেয়। সেখানেও সব মানুষকে তাদের কাজের পুরস্কার দেয়া হবে। তবে সেই পুরস্কার খারাপও হতে পারে কিংবা ভালোও হতে পারে। নেক বেশি হলে পুরস্কার আনন্দদায়ক হবে, আর পাপ বেশি হলে পুরস্কার হবে বেদনাদায়ক। ঈদের পুরস্কারও একইরূপ হবে। আর এ পুরস্কার তারাই পেতে পারেন, যারা এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে রিপুকে দমন করতে পেরেছেন। আর যারা অসৎ চিন্তা, অসৎ কার্যাবলি থেকে বিরত থাকতে পারেনি, রমজানের পবিত্রতাকে কলুষিত করেছে, তাদের জন্য ঈদুল ফিতর কোনো সুসংবাদ নয়। প্রকৃত অর্থে ঈদুল ফিতরের আনন্দ তার জন্য, যে তাওবা ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছে। এ জন্য বলা হয়, ঈদুল ফিতর হলো, সিয়াম সাধনায় সাফল্যের প্রতীক।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বিত্তবানদের সে রকম নির্দেশনাই দিয়েছেন- ‘যতক্ষণ না তোমরা দরিদ্রদের চোখের পানি মুছে দেবে, যতক্ষণ না তোমরা তাদের ভালো পোশাকে আবৃত করবে এবং তাদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ঈদ পালন করবে না’। প্রত্যেক রোজাদারের জন্য ইসলাম দু’টি আনন্দের ঘোষণা দিয়েছে। তার মাঝে একটি হলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন আর অন্যটি হলো পরকালে যেদিন রোজাদারের সঙ্গে আল্লাহ মহান দেখা করবেন।
- প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী
- লক্ষ্মীপুরে জাটকার কেজি ৮০০
- যুবলীগ নেতার অবৈধ বালুমহাল, মাসে আয় কোটি টাকা
- ফেনীতে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
- ফেনীতে চাঁদা না পেয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেফতার ৪
- তরমুজের জন্য বিখ্যাত নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এ বছর ফলন বিপর্যয়
- নোয়াখালীতে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৪
- নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ
- সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
- ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- এনআইওতে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি
- কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ
- রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
- বাহরাইনের এমপির সঙ্গে বাংলাদেশি দূতের সাক্ষাৎ
- চট্টগ্রাম থেকে হজযাত্রা শুরু ১৪ মে
- কানাডায় হরদীপ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৩ ভারতীয় গ্রেফতার
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বি
- আজ থেকে ট্রেনে বাড়তি ভাড়া
- লক্ষ্মীপুরে বিস্ফোরক মামলায় ছাত্রদল নেতা কারাগারে
- লক্ষ্মীপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি
- লক্ষ্মীপুরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
- বাবার কোলে মারা গেল পেট জোড়া লাগানো যমজ শিশু
- দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- তারেককে নিয়ে টালমাটাল বিএনপি
- ফেনীতে ২৪ ক্যান বিয়ারসহ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আটক
- বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে নজর দিন : শেখ হাসিনা
- শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি জয়নুল আবদিন ফারুকের
- শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি
- ঠিকাদারের লোককে পেটানোর অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে
- নোয়াখালীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য গ্রেফতার
- কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ
- লক্ষ্মীপুরে জাটকার কেজি ৮০০
- নোয়াখালীতে পাওয়া নতুন গ্যাস কূপে খনন শুরু
- মুহুরী নদীতে গোসলে নেমে নৌবাহিনী সদস্যের মৃত্যু
- তীব্র গরমে শ্রমিক সংকট, মাটি কাটার মজুরি ১৮০০ টাকা
- নোয়াখালীতে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
- দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ
- ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া