ব্রেকিং:
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

উপবাস মানেই রোজা নয়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২১  

মহিমান্বিত মাস মাহে রমজান। এই মাসে রয়েছে অগণিত সওয়াব, মর্যাদা ও বহুমুখী কল্যাণ। রমজান মানুষের আধ্যাত্মিক শক্তি, তাকওয়ার শক্তি ও আমলের শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি তা মানুষের কিছু ব্যবহারিক শক্তিকেও শানিত করে তোলে। রমজানে ইবাদত করলে সওয়াব বেশি। রমজানে ইবাদত করলে অন্যান্য মাস বা সময়ের থেকে দশ থেকে সাতাশ গুণ বেশি সওয়াব পাবে বান্দারা।  

একজন মুসলিম যখন ইমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে রমজানের রোজা পালন করে তখন তাকে অনর্থক-নিরর্থক মন্দ, অশ্লীল-অশালীন, অহেতুক ও অমূলক কথাবার্তা, ধারণা ও ঝগড়া-বিবাদ থেকে অনায়াসেই বিরত থাকতে হয়। যা তাকে মহান রবের কাছে তাকওয়াবান হিসেবে পৌঁছে দেয় আর বাস্তব জীবনে সে হয়ে ওঠে ব্যক্তিত্বশীল, চারিত্রিক মাধুর্যপূর্ণ, নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন একজন নাগরিক। এর মাধ্যমে সে নিজেকে একজন পরিপূর্ণ মুসলিম হিসেবে অন্যের কাছে উপস্থাপন করার সৎ ও নৈতিক সাহস খুঁজে পায়। যা একজন মুমিন মুসলিমের চলার পথকে করে সহজ থেকে সহজতর এবং ইসলামী পরিবেশে সে নিজেকে আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়। 

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘সে-ই প্রকৃত মুসলিম যার হাত ও জিভ থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ আর প্রকৃত মুহাজির সে যে আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তা ত্যাগ করে।’ বুখারি, মুসলিম। এ হাদিসে প্রকৃত মুসলিমের দুটি পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে- ১. তার হাত, শক্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে অন্য ভাই নিরাপদ থাকবে ২. তার জিব, ভাষা ও বাকশক্তির আক্রমণ ও অপব্যবহার থেকে অন্য ভাই নিরাপদ থাকবে। এ দুটো শিক্ষাই রমজান আমাদের দিয়ে থাকে। কারণ রমজান শুধু সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার বিরত থাকার নাম নয়; যাবতীয় অন্যায়, অশালীন, অশ্লীল, অহেতুক কথাবার্তা, মন্দ ধারণা, গিবত ও ঝগড়া-বিবাদ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার নামই রমজান। 

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি তার খাবার ও পানীয় পরিত্যাগ আল্লাহর কাছে কোনো উপকারে আসবে না।’ বুখারি, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ। আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক অন্য হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘সিয়াম ঢালস্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মতো কাজ করবে না। যদি কেউ তার সঙ্গে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয় তবে সে যেন দুবার বলে আমি সাওম পালন করছি।’ বুখারি, মুসলিম। একজন সিয়াম পালনকারী কীভাবে নিজেকে পাপাচার ও ঝগড়া-বিবাদ থেকে মুক্ত রাখবে তা রাসূল (সা.) হাদিসে সুস্পষ্টভাবে তাগিদ করেছেন।

মহান রব্বুল আলামিন মহাগ্রন্থ আল কোরআনে মারিয়াম (আ.)-এর পবিত্রতা রক্ষা করতে গিয়ে ইরশাদ করেছেন, ‘যদি মানুষের মধ্যে কাউকে তুমি দেখ তবে বলে দিও আমি আল্লাহর উদ্দেশে রোজা মানত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলব না।’ সুরা মারিয়াম আয়াত ২৬। এখানে মারিয়াম (আ.)-কে সাধারণ কথাবার্তা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়নি বরং পিতাবিহীন সন্তান ধারণ করা প্রসঙ্গে লোকেরা যদি তোমাকে অহেতুক প্রশ্ন করে, যাতে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে; তবে তুমি তাদের বলে দেবে আমি আল্লাহর উদ্দেশে সাওম পালন করছি মা’রেফুল কোরআন।