ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অগ্নি দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে ১০ হাজার প্রতিষ্ঠান

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অগ্নি দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার দোকান ও সুপার মার্কেট। অতি ঝুঁকিপূর্ণ এসব মার্কেটে পানির প্রাকৃতিক উৎস একেবারে কম; আগুন নেভানোর আধুনিক যন্ত্রপাতির সংযোজনও নগণ্য। মার্কেটগুলোতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) নেই। এ কারণে যেকোনো সময় অগ্নিকা-ে হতে পারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি। অথচ একটি মার্কেটে যদি ১০০টি দোকানের মধ্যে ৩০ জনের কাছে ৫ কেজি ওজনের ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকে, তাহলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
উপজেলার গাজী সুপার মার্কেট,সোনালী ব্যাংক ভবন, রায়পুর নিউ মার্কেট,মধ্যে বাজার, ভাট মার্কেট,রহিম মার্কেট,মেইন রোড সংলগ্ন দোকান সমূহ,নতুন বাজার,চালতা তলী বাজার,বাসাবাড়ি বাজার,হায়দারগঞ্জ বাজার, মিয়াজি মার্কেট সমূহ অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত।
ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র রায়পুরের প্রধান বাজার। এ বাজারে ছয় হাজারেরও বেশি দোকান রয়েছে। এক গলি দিয়ে ঢুকলে অন্য গলি দিয়ে বের হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণের। দোকানের সামনে বৈদ্যুতিক তার ঝুলে আছে এলোমেলোভাবে। ছোট্ট একটা শর্টসার্কিট হলে পুড়ে যেতে পারে কয়েকশো দোকান।

রায়পুরের বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রাথমিক নিরাপত্তার জন্য মার্কেটের কোথাও নেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। কোনো মার্কেটে আগুন লাগলে তা নির্বাপণ করার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। মুরিহাটা রোড থেকে শুরু করে গোডাউন রোড পর্যন্ত রয়েছে প্রায় কয়েক হাজার দোকান। এখানকার বেশির ভাগ দোকান কাপড়, লেদার কিংবা ইলেকট্রনিক্সের।

নির্দেশনা অনুযায়ী এক দোকান থেকে আরেক দোকানের দূরত্ব সাড়ে তিন মিটার হওয়া উচিত। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
অপরদিকে,উপজেলার বিভিন্ন দোকানে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। নিয়ম অনুযায়ী এলপি গ্যাস ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাত করতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীকে বিস্ফোরক অধিদফতরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের ছোট বড় এসব দোকানে অধিকাংশ বিক্রেতার নেই কোনো বিস্ফোরক লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র। উপজেলার হাটবাজারে প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী অন্য ব্যবসার সাথে অবৈধভাবে এলপি গ্যাস বিক্রি করছে।

উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও নেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। কয়েকটি মার্কেট,বাজার ও প্রতিষ্ঠান ঘুরে কিছুসংখ্যক এক্সিংগুইশারের দেখা গেলেও সেগুলোর বেশিরভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ। অনেকে আবার  এইগুলোর ব্যবহার বিধি সম্পর্কেও অজ্ঞ।
রায়পুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রধান কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মুঠোফোনের মাধ্যমে জানান, আমরা প্রতিনিয়ত রায়পুরের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকান্ড সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অগ্নি-নির্বাপণের বিভিন্ন কলা-কৌশল সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য মহড়া দিচ্ছি এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার জন্য রায়পুর বাজার বনিক সমিতির ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলেছি।