ব্রেকিং:
ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জিয়ার ভোটারহীন নির্বাচন ইতিহাসের কলঙ্কময় অধ্যায়: জয়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভোটারহীন নির্বাচন বাঙালির ইতিহাসের অমোচনীয় কলঙ্কময় অধ্যায়। 

বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

ওই স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে তা পাকাপোক্ত করতে ন্যাক্কারজনকভাবে হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করেন জেনারেল জিয়া। লোকদেখানো সেই হ্যাঁ/না ভোটের আগে কোনো মিটিং মিছিল পর্যন্ত হয়নি। ছিল না পরিচিতি ও প্রচারের ব্যবস্থা। রাস্তাঘাটে রিকশা-বাসে এবং মানুষের ব্যক্তিগত যানবাহনে জোর করে সামরিক পোশাক পরিহিত জেনারেল জিয়ার পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণার নামে একধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। ভোটের দিন ভোটারবিহীন ভোটকেন্দ্রে মানুষ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত অনেক শিশুকেও জোর করে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়া হয়। দিন শেষে ঘোষণা আসে, ৯৯.৪ ভাগ ভোট পেয়ে একচেটিয়াভাবে জয় লাভ করেছেন জেনারেল জিয়া! তার বিপক্ষে কেউ ভোট দেয়নি!! এই হাস্যকর নির্বাচন এবং এর আগের-পরের ঘটনাপ্রবাহ বাঙালির ইতিহাসের অমোচনীয় কলঙ্কময় অধ্যায়।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা আরো বলেন, ১৯৭১ সালেও জিয়াউর রহমান মূলত ছিলেন একজন মেজর। ১৯৭৫ সালের মধ্যেই তিনি মেজর জেনারেল এবং উপ-সেনাপ্রধানের পদ পেয়েও সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। দুই চোখের লাগামহীন উচ্চাভিলাষী দৃষ্টি গোপন রাখতে সবসময় কালো চশমা পরতেন এই খুনি জেনারেল। উপ-সেনাপ্রধান হওয়ার পর নিজে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মদদ দিলেন। এরপর হত্যা করেন সামরিক বাহিনীর শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যকে। অবশেষে নিজেকে জেনারেল ও সেনাপ্রধান ঘোষণা করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রযন্ত্রের দখল নিতে থাকেন। মার্শাল ল অর্ডিন্যান্স জারি করে দেশে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। বন্দি করেন রাজনীতিবিদদের। একপর্যায়ে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা বিচারপতি সায়েমকে অস্ত্রের মুখে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় আরো বলেন, এরপর সংবিধান এবং সেনা আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ১৯৭৭ সালের ৩০ মে হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করেন এবং একাই সেই ভোটে অংশ নেন। থমথমে পরিবেশে ভোটারবিহীন সেই নির্বাচনের উপস্থিতি দেখানো হয় ৮৮ ভাগ, যার মধ্যে প্রায় শতভাগ ভোটই জিয়ার পক্ষে (৯৯.৪ ভাগ) পড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। অতঃপর রাষ্ট্রীয় প্রবিধানকে পাশ কাটিয়ে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থাতেই নিয়মবর্হিভূতভাবে গঠন করেন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’। সেই দলের হয়ে ১৯৭৮ সালের তথাকথিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন এবং নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এই নির্বাচনে জিয়া কোনো কোনো এলাকায় ১২০ ভাগ ভোট পেয়েছেন বলেও বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জেনারেল জিয়ার রাজনৈতিক দল গঠন সম্পর্কে পাকিস্তানের দি হেরাল্ড পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিএনপি জন্ম ছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার নীলনকশার ফলশ্রুতি।… এই দলের জন্য যে দর্শন নির্ধারণ করা হয় তা হলো: আওয়ামী লীগের দুর্বল স্থানে আঘাত করা এবং জনগণের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাব জাগ্রত করা।… নিন্দিত আওয়ামী লীগার, চরম বামপন্থী ও মুসলিম লীগারদের নিয়ে দলের জনবল বাড়ানো হয়।’