ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপির নারী নির্যাতনের নানা ঘটনা আজও ভুলেনি মানুষ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২০  

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নারী নির্যাতন ও সংখ্যালঘু নির্যাতন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দলটির দুই দফা শাসনামলে দেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা মহামারি আকার ধারণ করে। বিএনপির শাসনামলে নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলো মনে করে আজও শিউরে ওঠেন দেশবাসী।

১৯৯৩ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রদল নেতা সীমান্ত, মিতুল ও জাপানসহ আরো কয়েকজন। পরিসংখ্যান বিভাগের সামনের জঙ্গলের মধ্যে তারা সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ঘটনার পর তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান এবং ছাত্রীর বাবাকে ডেকে ‘সমঝোতা’ করে দেন। 

এ ঘটনায় ওই ছাত্রী ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলে আর কোনোদিন ক্যাম্পাসে ফেরেননি। এমনকি ছাত্রীর বাবাও কাঁদতে কাঁদতে ক্যাম্পাস চত্বর ছাড়েন। ছাত্রদল নেতাদের এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় দেশ ও বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। চরম বিপাকে পড়ে তৎকালীন বিএনপি সরকার। কিন্তু ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতারা রয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ ঘটনার পর ১৯৯৫ সালে পরিসংখ্যান বিভাগের আরেক ছাত্রীকে অর্থনীতি বিভাগের সামনে থেকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে আগের অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা সীমান্ত। এ ঘটনায়ও সীমান্তের কোনো বিচার হয়নি। 

এদিকে ধর্ষণের শিকার সেই ছাত্রী পড়াশোনা শেষ না করে জাবি ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হলেও ছাত্রদল নেতা সীমান্ত ঠিকই পরবর্তীতে ডিগ্রি নিয়ে বের হয়। তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের মদদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্ত ও তার সহযোগীদের শাস্তি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনাতেই নেয়নি।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাবির এক শিক্ষক বলেন, সে সময়ে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক ক্যাডার হওয়ার কারণে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করেও পার পেয়ে যায় সীমান্ত। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ওই সময় ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের জন্য অপরাধের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।