ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খালেদা জিয়ার হাতে তালিকা, বহিষ্কৃত হচ্ছেন অনেকেই!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২০  

২৫ মাস সাজা ভোগের পর সরকারের মহানুভবতায় শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত ২৫ মার্চ মুক্তির পর থেকে অদ্যাবধি তিনি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না বলে জানা গেছে। এমনকি নিজের পুত্র লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের সঙ্গেও তার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। তিনি যখন ফোন করেন, বেশিরভাগ সময়ই খালেদা বিভিন্ন অজুহাতে তাকে এড়িয়ে যান।

জানা গেছে, মূলত কারামুক্তিতে কোন ভূমিকা না রাখার কারণে দলীয় নেতাদের সাথে এমন আচরণ করছেন বেগম জিয়া। বেগম জিয়া মনে করেন, ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে তাকে এতোদিন জেলে থাকতে হয়েছে। তাই ব্যর্থ নেতাদের দল থেকে বিদায় করতে একটি তালিকা তৈরি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এই তালিকায় উঠে এসেছে-কারা তার মুক্তির বিরুদ্ধে ছিল এবং কার কি ভূমিকা ছিল। আর কারাই বা সরকারের থেকে বিভিন্ন উপায়ে সুবিধা নিয়েছেন-এর উপর ভিত্তি করে করোনা সংকট কাটলেই তিনি একাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করবেন বলে জানা গেছে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, কারামুক্তির পর থেকে খালেদা জিয়া লন্ডনে পলাতক জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এড়িয়ে চলছেন। এমনকি তার সঙ্গে কথোপকথনও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। যা এক/দু’বার কথা হয়েছে, তা ছিল সৌজন্যতা বিনিময়ের পর্যায়েই। এমতাবস্থায় খালেদা আস্থা রেখেছেন নিজের ঘনিষ্ঠ সহচর ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উপর। তিনি নিজের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও ফখরুলের সঙ্গে মিলে একটি দীর্ঘ তালিকা তৈরি করেছেন। যেখানে তিনি জেলে থাকাকালীন সময়ে যেসব নেতাকর্মীরা সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সুবিধা নিয়েছেন এবং তাকে জেলে রাখতে বিশেষ মহলের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন-তাদের নাম উঠে এসেছে। করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগময় পরিস্থিতি কেটে গেলে তালিকা ধরে এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয় নেত্রী ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে জানতে বাংলানিউজ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বিএনপির তৃতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা বাইরে বলতে নিষেধ রয়েছে। তাই আপনারা অযথা জানতে চাইবেন না, কারণ আমি বলতে পারবো না। আমার জবানের একটা দাম আছে। তাছাড়া এটা বিশ্বাসযোগ্যতারও একটা ব্যাপার। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বিশ্বাস করে আমার সঙ্গে কিছু ব্যাপারে আলাপ করেছেন এবং সিদ্ধান্তেও পৌঁছেছেন-যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবাই জানতে পারবেন। তাই ধৈর্য ধরাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি আর অনৈক্যর সুর। এ কারণে দলটির নেতাকর্মীরা দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তি নিয়েও বাণিজ্য করে, তাকে জেলে রাখবার ফন্দিফিকির করে। এ থেকে সহজেই অনুমেয়, দলটির রাজনৈতিক মতাদর্শে কতোটা গলদ আছে এবং সেই আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নেতাকর্মীরা কতোটা আত্মপরায়ণ। যার কারণেই আজ তাদের দল থেকে বহিষ্কৃত হতে হচ্ছে!