ব্রেকিং:
নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আশ্রয়ণের ঘরে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দিলেন জাহেরা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৩  

‘আমরা ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে শুকিয়ে অনেক কষ্ট করেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমাদের কোনো সমাজ ছিল না। মাথা গোজার একটু ঠাঁইয়ের জন্য কত কান্না করেছি, কিন্তু কেউ মূল্য দেয়নি। আপনি আমাদের ঘর দিয়েছেন। আমরা সেই ঘরের পাশে শাকসবজি উৎপাদন করে রান্না করবো। আপনাকে দাওয়াত দিলাম, একদিন আপনি আমাদের এখানে আসবেন।’

বুধবার (৯ আগস্ট) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের কাচিহাটা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এভাবেই দাওয়াত দেন ঘর পাওয়া জাহেরা বেগম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে জাহেরা বেগম আরও বলেন, ‘আমার স্বামী প্রতিবন্ধী। দীর্ঘদিন তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে খালপাড়ে থাকতাম। সন্তানদের বাবার কোনো রোজগার ছিল না। বলতে গেলে তাদের বাবাও ছিলাম আমি, মা-ও ছিলাম আমি। খালের পানি ব্যবহার করতাম এবং খেতাম। অনেক কষ্টে ছিলাম কিন্তু এখন খুব সুন্দর একটা ঘর পাইছি। খাওয়ার জন্য ভালো পানি পাইছি। আমরা আপনার মতো প্রধানমন্ত্রী বারবার চাই।’

এ সময় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যদি সময় পাই, সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই দাওয়াত রক্ষার চেষ্টা করবো।

dhakapost

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ভ্যানচালক আবদুর রহিম বলেন, ‘আমি স্ত্রী ও চার মেয়ে নিয়ে উপরে একটা তেরপল টানিয়ে খালপাড়ে থাকতাম। রাতে বৃষ্টি হলে পানি সেচে থাকতে হতো। মেয়েরা আমাকে বলতো, বাবা আমাদের কি কখনো ঘর হবে না? আমি বলতাম আল্লাহ দিলে কোনো একদিন হবে। আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতাম কিন্তু কোনোদিন একটা ঘর করতে পারি নাই। আপনার দয়ায় একটা ঘর পেয়েছি। এখন আর কষ্ট করতে হবে না। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুক। আপনার জন্য দোয়া করি।’

আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে খুশি মো. হারুনও। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এই ঘরটা আমাদের স্বপ্নের মতো। কত আনন্দ লাগছে তা বলে বুঝাতে পারব না। আল্লাহর কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যেন উনাকে সারাজীবন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় রাখেন। তিনি গরিব মানুষের প্রধানমন্ত্রী। আর কেউ আমাদের ঘর দেয় নাই। একমাত্র তিনিই আমাদের এত সুন্দর ঘর দিয়েছেন।’

আরেক উপকারভোগী কালা মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানুষের দয়ায় থাকতাম। এখন আমাদের পরিচয় হয়েছে। সেই পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা উনার কাছে কৃতজ্ঞ। সারাজীবন উনার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করুম। আল্লাহ উনারে ভালো রাখুক। যেন সব সময় আমাদের খবর রাখতে পারে।’

 

dhakapost

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয়ণের বাসিন্দা জাহেরা বেগম ভিডিও কনফারেন্সে বেগমগঞ্জের আশ্রয়ণের ঘরে দাওয়াত দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সময়-সুযোগ পেলে আসবেন বলে জানিয়েছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি, চাটখিল ও সেনবাগ উপজেলাকে গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন। এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত আরও ৪১৮টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। পুরো আশ্রয়ণে আনন্দের জোয়ার বইছে। প্রতিটি ঘর সাজিয়েছেন বাসিন্দারা। তাদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আমরা ৩ হাজার ৫৭২টি গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করেছি। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলামসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।