ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফজলুল হত্যা মামলার আসামি ২৬ বছর পর গ্রেফতার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৩  

নোয়াখালীর চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী ও হক লাইব্রেরীর মালিক ফজুলল হক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জামাল উদ্দিন (৫৫) কে ২৬ বছর পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে, সোমবার রাত দেড় টার সময় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আকনগলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত জামাল উদ্দিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের শরীফপুর ইউনিয়নের মৃত ছাদু মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত জামাল উদ্দিন ও আবুল হাসেমসহ কয়েকজন মিলে চৌমুহনী রেলস্টেশন রোডের হক লাইব্রেরীর মালিক মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হকের বড় ছেলে ফজলুল হককে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধান পায়নি। একই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ফজলুল হকের বাবা সামছুল হক বাদী হয়ে সহোদর আবুল হাসেম ও জামাল উদ্দিন কে আসামী কে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ হত্যাকারীররা নিহতদের মরদেহ গুম করেছে বলে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সহোদর আবুল হাসেম ও জামাল উদ্দিনকে বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন।

নিহতের ছোট ভাই জিয়াউল হক জানান, রায় ঘোষনার সময় আবুল হাসেম উপস্থিত থাকলেও জামাল উদ্দিন ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। তাকে গ্রেফতারের জন্য আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল।

র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, উক্ত চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আসামি জামাল উদ্দিন নাম পরিচয় গোপন করে আত্নগোপনে চলে যায়। র‌্যাবের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং ছায়া তদন্তের মাধ্যমে আসাসির পরিচয় শনাক্ত করে এবং গোয়েন্দা দলের তথ্য সংগ্রহপূর্বক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জামাল উদ্দিনকে ২৬ বছর পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।