ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

৬৯`র গণ অভ্যুত্থানের চার শহীদ বঞ্চিত

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নোয়াখালীর সেনবাগবাসীর জন্য শোকাবহ এক স্মরণীয় দিন ছিলো ১৯ ফেব্রুয়ারি। ১৯৬৯ সালের এই দিনে নিহত চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সর্বস্তরের জনগণ।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেনবাগ থানার মোড়ে লেখক ফোরামের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্রদের অংশগ্রহণে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ফোরামের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবু তাহের বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী আমান উল্যা, সাংবাদিক খোরশেদ আলম, এম এ আউয়াল, ভাসানী সংসদের সভাপতি আবদুস ছোবহান প্রকাশ, আ'লীগ নেতা ভিপি দুলাল, কবি জাহাঙ্গীর বাবু, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক মো. হারুন ও খন্দকার নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

জানা গেছে, ১৯৬৯’র এ দিনে সার্জেন্ট জহুরুল হক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামসুজ্জোহা কে হত্যার প্রতিবাদে নোয়াখালীর সেনবাগে কালো দিবস পালন কালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন চার যুবক। এরা হলেন, পৌরশহর অর্জুনতলা গ্রামের অফিজের রহমান, বাবুপুর গ্রামের আবুল কালাম, জিরুয়া গ্রামের সামছুল হক ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খুরশিদ আলম।

ওই সময় পুলিশের গুলিতে আরো ১৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ৬৯-এর সেই ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সুযোগ সুবিধা এবং সংরক্ষণ করা হয়নি শহীদদের কবর। তৎকালীন ঘটনার দু’দিন পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনবাগে এসে নিহত শহীদের কবর জিয়ারত করে পরিবারের লোকজনের মাঝে ৫শত টাকা অনুদান ও একটি করে সনদপত্র তুলে দেন।
সরকারিভাবে কোনো সুযোগ সুবিধা না পেলেও জিরুয়া গ্রামের শহীদ সামছুল হকের মা স্বামীর সম্পত্তি বিক্রি করে পুত্রের কবর পাকাকরণ ও ছেলের নামে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করে ইন্তেকাল করেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি নিহত চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন, স্মারকলিপি সহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।