ব্রেকিং:
ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

একটি ভাসমান পল্টুন বদলে দিয়েছে ঘাটের চিত্র

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২১  

কিছুদিন পূর্বেও যেই ঘাটে যাত্রীরা ট্রলারে উঠতে হতো কাদামাটিতে পা দিয়ে, ঘাট শ্রমিকরা মালামাল উঠা নামা করতে নামতে হতো কোমর পানিতে, রোগীদের ট্রলারে উঠাতে গিয়ে স্বজনদের পড়তে হতো বিপাকে, শিশু ও মহিলাদের ট্রলারে উঠতে প্রতিনিয়তই বিড়াম্বনায় পড়তে হতো । সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেই ঘাটে একটি ভাসমান পল্টুন স্থাপন করায় বদলে গেছে পুরো ঘাটের চিত্র। নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নলচিরা ঘাটের চিত্র এটি।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে নলচিরা ঘাটে গিয়ে দেখা যায় অনেক যাত্রী পল্টুনের ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে আছে। বৃদ্ধ ও শিশু যাত্রীদের অন্যের সহযোগিতা ছাড়া খুব সহজে ট্রলারে উঠছে। ঘাট শ্রমিকরা পণ্যবোঝাই ট্রলার থেকে মালামাল উঠাচ্ছে। যেন কারো কোন ক্লান্তি নেই, নেই ট্রলারে উঠতে গিয়ে নদীতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি। ঘাটে ট্রলারের জন্য অপেক্ষামান অনেক যাত্রীকে এই ঘাটে পল্টুনটি স্থাপনের জন্য বর্তমান সরকার ও হাতিয়ার সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসকে ধন্যবাদ জানাতেও দেখা যায়। নতুন করে স্থাপন করা ভাসমান পল্টুনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা না হলেও গত সোমবার থেকে এই পল্টুন দিয়ে যাত্রী উঠা নামা শুরু হয়েছে।

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে জেলা সদর ও চট্রগ্রাম যাওয়ার প্রধান রুট হলো নলচিরা ঘাট হয়ে। এই ঘাট দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৫হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করে। স্বাধীনতার পর থেকে এই ঘাট দিয়ে মানুষ চট্রগ্রাম ও জেলা সদরে যাতায়াত করে। কিন্তু নদীর তীরে ভাঙ্গন অব্যাহত ও পানির স্রোতের তীব্রতা বেশী থাকায় এখানে পল্টুন স্থাপন করেও রাখা যেত না। তাই এই ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতে হতো। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ট্রলারে উঠতে দুর্ভোগের সীমা থাকতো না। বর্তমানে নলচিরা ঘাটের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালি ভর্তি কিছু জিও ব্যাগ দেওয়াতে নির্দিষ্ট এলাকায় নদীভাঙ্গন কিছুটা রোধ হয়েছে। আর তাতে খুব সহজে পল্টুনটি স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।

নলচিরা ঘাটে কর্মরত ঘাট শ্রমিকের হিসাবরক্ষক আবুল কাশেম কেরানী (৬০) জানান, এই ঘাটে সে ২০ বছর ধরে কাজ করছে। পল্টুন না থাকায় ট্রলারে উঠতে গিয়ে অনেক মহিলা ও শিশুকে নদীতে পড়ে যেতে দেখেছে সে। জীবনের শেষ সময়ে এই ঘাটে একটি ভাসমান পল্টুন স্থাপন দেখেতে পেরে সেও খুশি। তাঁর মতে আগে মানুষ বাড়ি থেকে রওয়ানা দিয়ে চিন্তা করতো কীভাবে ট্রলারে উঠবে। এখন আর সে চিন্তা করতে হবে না।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারি প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসের বার বার অনুরোধের ভিত্তিতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই পল্টুনটি স্থাপন করা হয়েছে। এই জন্য নিদিষ্ট কোন বরাদ্ধ ছিলনা, এটি মূলত আমাদের বিভিন্ন ঘাটে স্থাপন করা পল্টুনের মেরামতের বাজেট থেকে একটি অংশ নিয়ে করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ঘাটের ইজারাদার প্রতিনিধি ফাহিম উদ্দিন বলেন, নলচিরা ঘাটে স্রোতের তীব্রতা অনেক বেশী। এখানে স্থাপন করা পল্টুনকে ধরে রাখার জন্য দুটি স্পাড ( লোহার তৈরী খাম্মা) বসানো হয়েছে। এতে করে স্রোতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই পল্টনের সাথে আরো দুটি স্পাড বসানোর দাবী জানান তিনি।